রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করার সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম গিয়াস উদ্দিন (৪৫), তিনি শহরের আব্দুল আলী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীর পাড় এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় দিনমজুর ছিলেন।

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে শহরের রিজার্ভ বাজারস্থ মহসীন কলোনির পেছনের কাপ্তাই হ্রদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে রাঙামাটি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে মহসীন কলোনি এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসার পেছনের হ্রদের পানিতে একটি লাশ ভাসতে দেখে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধার হওয়ার আগেই ওই এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা হ্রদের পাড়ে ভিড় করেন এবং পুলিশ লাশ উদ্ধার শেষে পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা লাশ শনাক্ত করেন।

নিহতের শ্যালক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমার বোন জামাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই আমরা থানায় জিডিও করেছিলাম। আজ সকালে লেকে লাশ ভাসার খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি এবং নিশ্চিত হই যে এটা গিয়াসের লাশ।

রাঙামাটি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সকালে কয়েকজন আমাকে খবর দেয় যে মহসীন কলোনির পেছনে একটা লাশ ভাসতে দেখা যাচ্ছে। আমি তৎক্ষনাৎ পুলিশে খবর দিই। পুলিশ আসার পর আমরা সকলে মিলে লাশ উদ্ধার করি। নিহতের নাম গিয়াস উদ্দিন বলে জানতে পেরেছি এবং সে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানা গেছে।

সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ক্য লাহ্ চিং বলেন, সকালে আমরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করি। নিহত গিয়াস উদ্দিন কিছুদিন আগ থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। তাই তার স্ত্রী এবং মা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন। নিহতের শরীরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাইনি। যেহেতু সে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানতে পেরেছি, আমরা ধারণা করছি সে কোনভাবে হ্রদের পানিতে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। পুলিশি ব্যবস্থায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে।