×

সাহিত্য

অমর একুশে: মূল মঞ্চের আয়োজন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:০০ পিএম

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘কোভিড-১৯: ভাষার বৈশ্বিকতা ও বাংলাদেশের সাহিত্য এবং কোভিড-১৯: সংস্কৃতির সংকট ও রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাকিম আরিফ এবং মোহাম্মদ শেখ সাদী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পারভেজ হোসেন, হামীম কামরুল হক, কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী এবং আবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রফিকউল্লাহ খান।

প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, ২০২০ সালে বৈশ্বিক বিস্তৃতিতে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ এমনই এক অতিমারি রোগ যা মানুষের সৃজনশীলতাকে নানামাত্রায় স্পর্শ করেছে। এই অতিমারির কারণে বাংলা ভাষাসহ সারাবিশ্বের ভাষাসমূহে নতুন শব্দমালা ও পরিভাষার উদ্ভব ঘটেছে। পাশাপাশি কোভিডকালীন বন্দিসময়ে বাংলা সাহিত্যে কোভিডকেন্দ্রিক সাহিত্যকর্ম রচিত হয়েছে। অতিমারির সময়টিতে আমাদের জীবনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন সংস্কার। ফলে ধীরে ধীরে সংস্কৃতিও রূপান্তরিত হচ্ছে।

আলোচকরা বলেন, কোভিডকাল আমাদের জীবনে নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার করেছে, আমাদের চিন্তায় এবং জীবনযাত্রায় এনেছে পরিবর্তন। এ সময় আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রের মতো শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিও অতিক্রম করেছে সংকটময় মুহূর্ত। করোনা আমাদের মনে যে প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে তা থেকে সারাবিশ্বের সাহিত্যে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যও এর ব্যতিক্রম নয়। সমকালীন বাস্তবতার ভাষ্যকার শিল্পী ও সাহিত্যিকগণ তাঁদের সাহিত্যে করোনার নানামুখী অভিঘাতকে চিত্রিত করেছেন। করোনা ভয়াল অভিঘাতে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও জীবন-সংস্কৃতি যেমন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে তেমনি ভবিষ্যৎ সংকট মোকাবিলার নানা পথ আমাদের সামনে উন্মোচিত হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে রফিকউল্লাহ খান বলেন, করোনার সংকটময় কালে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশ ও মুখোমুখি হয়েছে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির। সে-সময় আমরা বিচ্ছিন্নতার অভিজ্ঞতা লাভ করেছি, আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি নানাভাবে রূপান্তরিত হয়েছে। তথাপি বাংলাদেশের মানুষ সাহসিকতার সঙ্গেই করোনা সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।

আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন সামসাদ সুলতানা খানম, হাসান রাউফুন, বীথি রহমান এবং মামুন সারওয়ার।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন প্রদীপ মিত্র, সুহিতা সুলতানা, চঞ্চল শাহরিয়ার, আরিফ মঈনুদ্দিন, সামতান রহমান, হরষিত বালা, কানিজ পারিজাত, মনির ইউসুফ, ইমরান পরশ এবং মীর রেজাউল কবির। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুপ্রভা সেবতি, সাহিত্য ভঞ্জ চৌধুরী এবং রত্না সিন্হা। এছাড়া ছিল রাজেশ দাস-এর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘উঠোন’, আলম আরা জুঁই-এর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘কুষ্টিয়া আবৃত্তি পরিষদ’, সাজেদ ফাতেমীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নকশীকাঁথা’, আরিফুজ্জামান চয়ন-এর পরিচালনায় নৃত্য সংগঠন ‘উদ্ভাস নৃত্যকলা একাডেমী’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মুজিব পরদেশী, রুশিয়া খানম, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সমর বড়ুয়া, লুনা ফাতিমা, ডালিয়া সুলতানা, নাসিমা খন্দকার পাপিয়া এবং সোমা দাস।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App