চাঁদপুর মেঘনার পশ্চিম পাড় সদর উপজেলার রাজরাজশ্বরে মোজাফ্ফরিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণী ও সুধী সমাবেশ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদরাসার প্রধান উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিয়াজী, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. দেবাশীষ কর মধু।

মাদরাসার অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মাওলানা এএইচএম হাবিব উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক মোবারক হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা খলিলুর রহমান প্রধানীয়া পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তৈমুর হাসান টিপু প্রমুখ।

সহকারী শিক্ষক মো. হারুনুর রশিদ, মামুনুর রশিদ, নুরুন্নাহার, প্রতিমা রানী দাস, সহকারী মৌলভী শিক্ষক নোমান, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী বলেন,মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উজ্জল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করেছেন। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষায় মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। কারণ বিশ্বে মেধার প্রতিযোগিতা চলছে। বিশ্ব এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাস্ট্রে পরিণত করতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত টার্গেট নিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছেন।

সুজিত রায় নন্দী বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্দিনে দুর্বিপাকে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা হলেন মানবতার নেত্রী,বিশ্ব মানবতার মা বিশ্ব মানবতার নেতা। সারা বিশ্বে এখন শেখ হাসিনার সুনাম। অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা সেই নেত্রী দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সারা পৃথিবীর মানুষ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। কেউ ভাবতে পারেনি দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, মাটির নিচে পাতাল রেল কর্ণফুলী টানেল হবে। যারা প্রতিহিংসা অপরাজনীতি করে উন্নয়নে বিশ্বাসী না তারা এসব দেখেন না।

সবাইকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, অবহেলিত রাজরাজেশ্বরের মানুষ এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। এলাকার অনেক উন্নয়ন কাজ বর্তমান সরকারের সময় হয়েছে। এই উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে সকলকে নৌকার পক্ষে এক থাকতে হবে।