কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পরকীয়ার জেরে সুমনকে (২২) সু-পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীসহ দুর্বৃত্তরা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

এর আগে ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার সদর ইউনিয়ন সীমান্ত ঘেষা বড়াইবাড়ি গ্রাম নামক স্থানে। নিহত সুমন বড়াইবাড়ী গ্রামের মোতালেবের ছেলে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে ছেলের স্ত্রী সোমা খাতুনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে নিহতের স্ত্রী সোমা খাতুনকে (১৮) প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রৌমারী থানায় নিয়ে গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি গ্রামের মোতালেবের ছেলে সুমনের সাথে পার্শ্ববর্তী কলাবাড়ি গ্রামে শুকুর আলীর মেয়ে সোমা খাতুনের সাথে গত ৪ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই সোমা খাতুন পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। সোমার গোপন পরকীয়ার বিষয় বিয়ের পরপরই সোমার স্বামীর বাড়ির লোকজন জানতে পেরে তার বাবা মাকে পরকীয়ার ঘটনাটি অবগত করেন। তারাও বিষয়টি জানার পর মেয়েকে চাপের মুখে রাখেন। পরে সোমা প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামী সুমনকে সুযোগ বুঝে ঘটনার দিন সোমাসহ ৩/৪ জন সুমনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার।

এদিকে, এলাকায় জানা জানি হলে সোমা নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করের ব্যর্থ হন। পরে মধ্যরাতে সোমা শ্বশুর-শাশুড়িকে ডেকে বলে আপনার ছেলে আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার করে। এ সময় পরিবারের লোকজনের আত্ম চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সুমনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয় রৌমারী ইউপি সদস্য ফিরোজ বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

একই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক লাল মিয়া বলেন সুমনকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য সাবেক রুহুল আমিন বলেন, এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি।

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রূপ কুমার সরকার বলেন, পরকীয়ার কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মৃতের পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মৃতের স্ত্রীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।