×

জাতীয়

হুইলচেয়ারে ক্যাম্পাসে, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার হুমকি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৯ পিএম

হুইলচেয়ারে ক্যাম্পাসে, শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার হুমকি

বুধবার বিকেলে ছাত্রলীগের হামলার শিকার ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে এসে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার দাবি করেছেন ছাত্রলীগের হামলার শিকার ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

হুইলচেয়ারে করে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের করা হামলার বিচার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থী বলে দিয়েছেন, হামলাকারীদের শাস্তি না দিলে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করবেন তিনি।

ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন বিন ইয়ামিনসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পাঁচদিনব্যাপী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রক্টর কার্যালয়ে যান তারা। এ সময় বিন ইয়ামিন নিজে ছিলেন হুইলচেয়ারে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান প্রমুখ তার সঙ্গে ছিলেন। বিন ইয়ামিনের স্বাক্ষর করা লিখিত অভিযোগ প্রক্টরের হাতে তুলে দেয়া হয়।

প্রক্টরের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা উল্লেখ করেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীসহ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির ফটকে উপস্থিত হন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের টিএসসিতে প্রবেশে বাধা দেন। তারা অনেক অনুরোধ করার পরেও ঢুকতে দেয়া হচ্ছিল না। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তারা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এসময় গার্ডার ফেলে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস সানির পা ভেঙে দেয়া হয়।

লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেদিন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমিসহ আমার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির ফয়সাল, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি ফয়সাল রকিসহ ২৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে রাস্তায় ফেলে গুরুতর জখম করেন ও মিলন চত্বরে পুলিশের হাত থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে নারকীয় হামলা চালান৷ এই নারকীয় হামলায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী শাহনেওয়াজ বাবু, ইসমাইল আবদুল মুনাফ ওরফে প্রান্ত ও শাকিরুল ইসলাম ওরফে সাকিব, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার শহীদ ওরফে শুভ ও এমআর জিহাদ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ জামান, কবি জসীমউদদীন হল শাখার সহসভাপতি রাশেদুজ্জামান রনি, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আলম চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ইবনে আবদুল হক ওরফে রাব্বি।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App