×

সারাদেশ

বারবার সাক্ষাৎকারে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম

বারবার সাক্ষাৎকারে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী

ছবি: ভোরের কাগজ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দেশিত তদন্ত কমিটির ডাকে ক্যাম্পাসে এসেছেন ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ভুক্তভোগী ও তার বাবা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির নিরাপত্তায় নির্যাতনের ঘঠনাস্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে যান। সেখান থেকে একে একে মোট তিনটি কমিটির মুখোমুখি হতে হয় তাকে। বারবার সাক্ষাৎকার দিতে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আসা-যাওয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই ছাত্রী। ওই ছাত্রী ও তার বাবা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্যাম্পাস সূত্রে, দুপুর ১২ টার দিকে পর্যায়ক্রমে হল কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মিলিত হন ভুক্তভোগী। সেখান থেকে বেলা পৌনে ৩ টারদিকে হল থেকে বের হন ভুক্তভোগী। এসময় মীর মশাররফ হোসেন ভবনে অবস্থিত আইন বিভাগে কমিটির আহবায়কের নিজ রুমে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। এসময় একই রুমে ভুক্তভোগীসহ ৫ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযুক্তদের গোপনে ক্যাম্পাসে আনা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। প্রায় এক ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকাল ৪টার দিকে তারা কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে পৃথকভাবে ক্যাম্পাস থেকে তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভুক্তভোগী সাহসের সঙ্গে গণমাধ্যমের কথা হলেও কোন প্রশ্নের জবাব দেননি অভিযুক্তরা।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, আমি অভিযুক্তদের চিনিয়ে দিয়েছি। তারা আমার হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছে। আমি বলেছি আমি এবিষয়ে কিছু বলতে চাই না। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নিবে তাই হবে। তাদের কান্না কান্না ভাব ছিল। আপনি তাদের দেখে ভয় পেয়েছিলেন কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন ভয় পায়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খুলেননি। অভিযুক্ত তাবাসসুম বলেন, আমি যা বলার তদন্ত কমিটিকে বলে দিয়েছি। আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। অন্য অভিযুক্তরাও মুখ খোলেনি।

এসময় তদন্ত কমিটির সদস্যরাও গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা স্বত্ত্বেও ভুক্তভোগীর নিরাপত্তাদানে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। বুধবার অভিযুক্তদের গোপনে ক্যাম্পাসে আনা হয় বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ঘটনার পর আজকেসহ চারবার আসলাম। এভাবে আসা-যাওয়া করে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রতিবার আসতে ও যেতে প্রায় আট ঘন্টা সময় লাগে। এছাড়াও প্রতিবার ৫০০/৬০০ টাকা খরচ হয় যা আমার জন্য কষ্টকর। আমি তো আর প্রশাসনকে বলতে পারি না ক্যাম্পাসে থাকার কথা। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে তাহলে ভালো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সাজ্জাদুর রহমান টিটু বলেন, আমরা ভুক্তভোগীকে নিরাপত্তা দিয়ে কুষ্টিয়ার আলাউদ্দিন নগর পর্যন্ত পৌছে দিয়েছি। পরে তারা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাসায় চলে গেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App