অজয় পালের ‘অম্লমধুর স্মৃতিকথা’
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
সময় এগিয়ে চলে তার নিজস্ব গতিতে, বহমান স্রোতের মতো। এই স্রোতে ভেসে যায় অনেক কিছু, আবার উঠে আসে স্রোতের টানে নতুন কিছুও। জীবনের টক-মিষ্টি স্মৃতিকে স্মরণ করে এমনই একটি বই লিখেছেন খ্যাতিমান সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিজন অজয় পাল। বইটির নাম দিয়েছেন ‘অম্লমধুর স্মৃতিকথা’।
এবারের অমর একুশে বই মেলায় ৪৮৬ ও ৪৮৭ নং স্টলে ‘অম্লমধুর স্মৃতিকথা’ বইটি পাওয়া যাচ্ছে। ত্রয়ী প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মেলায় বইটি বেশ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
তবে লেখক অজয় পাল তার এই স্মৃতিবিজড়িত বইটি দেখে যেতে পারেননি। বইটি মেলায় আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। গত ৭ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের রয়েল লন্ডন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি ব্রেন স্ট্রোক করলে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। তিনি মূলত যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছিলেন।
[caption id="attachment_409076" align="aligncenter" width="720"] সাংবাদিক অজয় পাল[/caption]অজয় পাল সিলেটে দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক দেশবাংলা ও দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, দৈনিক সিলেট বাণীতে কাজ করেছেন। এছাড়া সাপ্তাহিক যুগভেরী, সিলেট সমাচার, দেশবার্তা ও সিলেটধ্বনি পত্রিকায় কাজ করেছেন। ছিলেন সিলেট প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতির দায়িত্বে। ২০০৮ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হৃদয়ে বাংলাদেশ ম্যাগাজিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ছিলেন । ২০০১ সালে কিউবার হাভানায় অনুষ্ঠিত ইন্টার–পার্লামেন্টারি কনভেনশনে বাংলাদেশ সংসদীয় দলের সঙ্গে সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন অজয় পাল । গীতিকার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি।
অমর একুশে বই মেলায় কথা হয় লেখক মীর লিয়াকতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অজয় পালের ‘অম্লমধুর স্মৃতিকথা’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশিত হয়েছে। অজয় পাল তার প্রকাশিত বইটি দেখে যেতে পারেননি। কষ্টটা হৃদয়ে অনুভব করছি ।’
অজয় পালের ভাতিজা মৃদুল পাল বলেন, জেঠু অসাধারণ ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ ছিলেন। সাংবাদিক হিসেবেও ছিলেন নির্ভীক ও সততার প্রতীক। তার আদর্শকে ধারণ করে বড় হয়েছি। জেঠুর শেষ সৃষ্টি ‘অম্লমধুর স্মৃতিকথা’। বইটি আমাদের পরিবারের সবার কাছেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালোলাগার। তিনি আমাদের মাঝে আর নেই। তিনি থাকলে হয়তো আজ প্রেক্ষাপটটা ভিন্ন হতো। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।