×

জাতীয়

রক্ত দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষা দেয় একুশে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:১১ পিএম

রক্ত দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষা দেয় একুশে

মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। ছবি: ভোরের কাগজ

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিক্ষা দিয়েছে। প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। রক্ত দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষা দেয় মহান একুশে। সুশাসন ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায় এই একুশ। অন্যায়কে পরাজিত করতেই আমরা রাজনীতি করবো। ভাষা আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় আমরা একটি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু মুক্তি পাইনি। দেশের মানুষ বৈষম্য ও কুশাসন থেকে মুক্তি পায়নি।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনা সভা শেষে একুশের চেতনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্যরা।

জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরিফা কাদেরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সংবিধানে লেখা আছে রাষ্ট্রভাষা বাংলা। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা দীর্ঘ সময়েও বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীনতার পর যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সর্বস্তরে বাংলাকে বাস্তবায়িত করতে ব্যর্থ হয়েছে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ সংসদে সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে প্রচলিত করতে আইন পাশ করেন। দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলে এক সরকার থেকে অন্য সরকার আসছে, কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে কারো উদ্যোগ নেই। প্রজাতন্ত্র মানেই প্রজাদের তন্ত্র। যেখানে সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু দেশে কী গণতন্ত্র আছে? সাধারণ মানুষ কী প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন? প্রতিনিধিরা কী জনগণের কথা শুনতে চায়? এখন কথা বলতে চাইলে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করার ব্যবস্থা হয়। সরকারের সমালোচনা করলে বলা হয় রাষ্ট্রদ্রোহিতা। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বড়বড় কথা বলেন, কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারা নিজেদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App