×

সারাদেশ

জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে দুই সন্তান নিয়ে হালিমার বসবাস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম

জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে দুই সন্তান নিয়ে হালিমার বসবাস

ছবি: ভোরের কাগজ

জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে দুই সন্তান নিয়ে হালিমার বসবাস

ছবি: ভোরের কাগজ

বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নে আরজিকালিকাপুর গ্রাম আড়িয়াল খাঁ নদীর পারে ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার উপরে জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন পাঁচ সন্তানের জননী হালিমা বেগম।

প্রায় ১৫ বছর আগে সন্তানদের রেখে স্বামী মারা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরে আড়িয়াল খান নদীতে বাড়িঘর ভেঙ্গে যায়। পরে ময়দানের হাট ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তায় আশ্রয় নেয়।

আড়িয়াল খাঁ নদীর সংলগ্ন এলাকার ৫৫ বছর বয়সী অসহায় হালিমা বেগম। সে তার দুই সন্তানকে ও গবাদি পশু নিয়ে রাস্তার উপরে বাঁশের চাটাই ও পলিথিন দিয়ে নির্মিত জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে যায় বিছানাপত্র, অনেক সময় অন্যের বাড়িতে নিতে হয় আশ্রয়।

তার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা, মেলেনি একটি সরকারি ঘর। বর্তমানে বসবাসের একমাত্র আশ্রয় ঝুপড়িটি জরাজীর্ণ হওয়ায় একটু ঝড়-বৃষ্টিতেই ভিজে যায় বিছানাপত্র, অনেক সময় বৃষ্টি আসলে কাতা বালিশ মুড়িয়ে ঘরের এক কোণায় বৃষ্টি থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, কখনো কখনো বেশি বৃষ্টি হলে নিতে হয় অন্যের বাড়িতে আশ্রয়। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছেন তিনি। তাইতো সমাজের বিত্তবান ও সরকারের কাছে একটি ঘরের আবেদন জানিয়েছেন ওই অসহায় পরিবার।

[caption id="attachment_408632" align="alignnone" width="1419"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

অসহায় হালিমা বেগম বলেন, ৩ ছেলে, মেয়ে, বিবাহের পর যার যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এখন আমি দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছি, আমাদের দেখার কেউ নেই। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোনরকম সংসার চালাই ছেলে মেয়ের লেখাপড়া করাই। এই বয়সে তেমন কাজ-কাম করতে পারি না। একটি গাভী গরু পালন করি ও অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা পাই তা দিয়ে কোনভাবে দিন পার করছি। অনেক সময় অন্যের কাছ থেকে খুজে নিয়ে খেতে হয়। অতিকষ্টে দিন পার করছি। ঘরের জন্য বিভিন্ন লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ভাগ্য একটি ঘর জুটে নেই।

এলাকাবাসী জানান, এই পরিবারটির খুবই অসহায়। তেমন একটা কাজ করতে পারে না। অনেক সময় অন্যের বাড়িতে গিয়ে খুঁজে নিয়ে খায়। থাকার ভালো একটি ঘরও নেই। কোন মহৎ ব্যক্তি বা সরকার যদি এই পরিবারটিকে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে কমপক্ষে তারা রাতের বেলা শান্তি মতো একটু ঘুমাতে পারতো।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন রাড়ী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি দেখব একটি নতুন ঘরের ব্যবস্থা করে দেয়া যায় কিনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App