×

জাতীয়

শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ সবার জন্য উন্মুক্ত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:১০ পিএম

শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ সবার জন্য উন্মুক্ত

ছবি: সংগৃহীত

দুই বছর পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে এবার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার প্রমুখ।

এর আগে মহামারি করোনার কারণে পুষ্পস্তবক অর্পণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ছিল। সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন ও ব্যক্তি পর্যায়ে দুজন একসঙ্গে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের অনুমতি পেতেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে সবাই এবার শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। আমরা মনে করি, সবার মাঝে সচেতনতাবোধ এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ করছি।

ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। এরপর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধান, ভাষাসৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিনরা ও হলের প্রাধ্যক্ষরা।

তিনি আরো বলেন, সর্বস্তরের জনগণ পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবেন। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর ঢাবির খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাস্তা দিয়ে চানখাঁরপুল হয়ে প্রস্থান করা যাবে। কোনোভাবেই শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আজিমপুর কবরস্থানে যাতায়াতের জন্য একটি রুট-ম্যাপও প্রণীত হয়েছে। ম্যাপ যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ করছি।

উপাচার্য বলেন, শহীদ দিবস উদযাপনে সার্বিক ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। ভাবগাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে অমর একুশে পালনের লক্ষ্যে শহীদ মিনার এলাকায় কোনো মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না। এ ছাড়া শহীদ মিনার এলাকায় কোনো ব্যানার, পোস্টার বা ছবি টানানো যাবে না। প্রবেশপথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটস, রেঞ্জার ও স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। তাদের যথাযথ সহযোগিতা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App