×

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেয়ারম্যানের অনিয়মের তথ্য উপস্থাপন সদস্যদের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২১ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চেয়ারম্যানের অনিয়মের তথ্য উপস্থাপন সদস্যদের

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের নানা অনিয়মের বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিষদের ছয়জন সদস্য।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটার দিকে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তারা অনিয়মের বিভিন্ন দিক গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে উপস্থাপন করেন। সদস্যরা জানিয়েছেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ১২জন সদস্যের মধ্যে আটজন সদস্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগকারী জেলা পরিষদের সদস্যরা হলেন, আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারিদের মধ্যে বাবুল আক্তার ও বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ ছাড়া বাকি ছয়জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জেলা পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সভাতেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার সেচ্চাচারিতা শুরু করেন৷ তিনি একক ভাবে তার পছন্দের তিনজন সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান বানাতে চেয়েছেন। অথচ আইন অনুযায়ী সব সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে হয়। নির্বাচিত সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করেছেন। জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভাগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রদের পদাধিকারবলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ অনুযায়ী তাদের অনুকূলে বিভাজন করার কোন বিধান রাখা হয়নি। অথচ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতাবলে সব উপজেলা চেয়ারম্যানকে চার লাখ টাকা, পৌরসভার মেয়রদের চার লাখ টাকা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের তিন লাখ টাকা করে বরাদ্দের বিভাজন করেছেন। যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ব্যবহার নীতিমালা, ২০২২ ও এডিপি বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা, ২০২২-এর পরিপন্থি।

৪ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা দেয়ার একটি ফর্ম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। ওই ছকে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানের সুপারিশ গ্রহনের বাধ্যবাধকতা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন তিনি।

সংরক্ষিত ১.২ ও ৩নং ওয়ার্ড সদস্য বিউটি কানিজ বলেন, সম্পতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন গ্রহণ না করে প্রায় তিন হাজার শীতবস্ত্র ক্রয় করেছেন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯-১০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভায়ও কোনো অনুমোদন গ্রহণ করা হয়নি। উনার অনিয়মের কথা জানিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ের লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রাণোদিত। আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App