শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুরে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক হাজার হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে ১০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এতে সজিব নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর অবধি বিলাসপুর ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুল জলিল মাদবর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুলাই বেপারী কান্দি এবং বুধাইর হাট বাজার হয়ে সাবেক সাংসদ বি এম মোজাম্মেল হকের বাড়ি পর্যন্ত এবং মহড় খার কান্দির পাশের কীর্তিনাশা নদীর তীরসহ কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষে কয়েক হাজার হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। হামলায় শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেছে। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে এবং বাকিদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বিলাসপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৫ শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাজিরা থানা পুলিশ ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছিল। তবে তখন এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি হলেও কোনো মামলা হয়নি।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী বলেন, সকালে জলিল মাদবরের সমর্থকরা আমার বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালিয়েছে। তারপর আমার লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করে।

অন্যদিকে, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিল মাদবর বলেন, নির্বাচনের পর আমার সমর্থকরা প্রশাসনের সহযোগিতায়ও বাড়ি থাকতে পারেনি। আজকেও কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকরা হামলা চালালে আমরা জবাব দিতে বাধ্য হয়েছি।

জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সকাল বেলা আমরা সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিলাসপুরে যাই। গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। সংঘর্ষ নিয়ে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।