×

খেলা

জুনিয়রদের দেখানো পথে হাঁটতে পারবে কি টাইগ্রেসরা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১৮ পিএম

জুনিয়রদের দেখানো পথে হাঁটতে পারবে কি টাইগ্রেসরা!

ছবি: সংগৃহীত

আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ রাত ১১টায় অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগে জানুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অজিদের ৭ উইকেটে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছিল জুনিয়র টাইগ্রেসরা। এবার নিগার সুলতানা জ্যোতি বাহিনীর লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে জুনিয়রদের মতো ইতিহাস গড়া।

এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ উইকেটে হেরে আসর শুরু করে বাংলাদেশ। এই হারে টাইগ্রেসদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দয়ী করেছেন দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধন্ত নেন জ্যোতি। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করে টাইগ্রেসরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভার ২ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। বিশ্বকাপে এই নিয়ে টানা ১৩টি ম্যাচে পরাজিত হলো বাংলাদেশ। ১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তারের দারুণ বোলিংয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেটের পর ষষ্ঠ ওভারের প্রথম দুই বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন মারুফা। শুরুর চাপ সামলে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৭৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ১০৪ রান তুলে শ্রীলঙ্কাকে টানা দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ দেন ওপেনার হর্ষিতা সামারাবিক্রমা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা। ৫০ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করেন হর্ষিতা এবং ৩৮ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন ডি সিলভা। বাংলাদেশের মারুফা ৪ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে প্রথম ওভারে দুটি বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেন টাইগ্রেস ওপেনার শামীমা সুলতানা। তবে রানের খাতা খোলার আগে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন আরেক ওপেনার মুরশিদা খাতুন। ১৩ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন শামিমা। ওয়ানডাউনে নামা সোবহানা মোস্তারি করেন ৩২ বলে ২৯ রান। সাবধানে খেলতে থাকা নিগার থামেন ৩৪ বলে ২৮ রান করে। ৯৫ রানে অধিনায়ক সাজঘরে ফিরলে শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকে ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ ১২৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত আমার মনে হয় ১৫-২০ রানের ঘাটতি ছিল আমাদের। এই ধরনের উইকেটে অন্তত ১৪০ রানের বেশি করতে পারলে দারুণ হতো। কারণ, তাদের ব্যাটিং বিভাগ অনেক শক্তিশালী। আমাদের শুরুটা ভালো ছিল, কিন্তু দশম ওভারের পর ভালো করতে পারিনি। ষষ্ঠ ওভারের পর বাউন্ডারি মারতে পারিনি আমরা। ওখানে আমাদের ঘাটতি ছিল এবং এটির মূল্যই দিতে হয়েছে আমাদের।’ আর অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে। কিউইদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় অজিরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৬ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইদের ইনিংস। ৯৭ রানের বড় জয় পায় ম্যাগ লেনিং বাহিনী।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনো জয়ের রেকর্ড নেই টাইগ্রেসদের। এ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে একবারের দেখায় হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর ওয়ানডেতেও একবারের দেখায় হেরেছে বাংলাদেশ।

তবে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। অজিদের করা ৫ উইকেটে ১৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জুনিয়র টাইগ্রেসরা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরতেই চাপে পড়ে অজিরা। দলের দুই ওপেনার কেউ ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ওপেনার কেট পেল্লেকে মাত্র ৫ রানে সাজঘরে ফেরান দিশা বিশ্বাস। এরপর আবারো আরেক ওপেনার প্যারিস বৌডলারকে ৭ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান দিশা। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ৩৯ বলে ৩৫ রানের মাথায় এল্লা আউট হলেও অর্ধশতকের দেখা পান ক্লেয়ার। তিনি সাজঘরে ফেরেন ৫১ বলে ৫২ রান করে। টাইগ্রেস বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে অস্ট্রেলিয়া।

দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন টাইগ্রেস ওপেনার রানি সাহা। ওপেনার হুমায়রা আনামের সঙ্গে ইনিংস বড় করতে থাকেন দিলারা আক্তার। হুমায়রা করেন ২২ বলে ২৪ ও দিলারা আক্তার ৪২ বলে ৪০ রান। তারা আউট হলেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। চার ও পাঁচ নম্বরে নামা স্বর্ণা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন। স্বর্ণা করেন ১৮ বলে ২৩ রান ও সুমাইয়া করেন ২৫ বলে ৩১ রান। ১২ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে যায় বাংলাদেশ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App