দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সীমান্ত লাগোয়া ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে তিনি সোনাহাট স্থল বন্দরে পৌঁছে বন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে ঘুরে দেখেন। এরপর বন্দর কর্তৃপক্ষের হল রুমে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের সাথে বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।

এ সময় তার সাথে ছিলেন- মো. মোস্তফা কামাল, সচিব নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়, নাজমুল আহসান, সচিব পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, সাবিরুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার রংপুর,  আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, পরিচালক, আশ্রায়ন-২ প্রকল্প, প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়, মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়, মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ, জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম, আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম, মো. আব্দুল মোত্তাকিম, অধিনায়ক ২২ বিজিবি, কুড়িগ্রাম, নুরুন্নবী চৌধুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভুরুঙ্গামারী ও কুমার দেব শর্মা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভূরুঙ্গামারী।

আমদানি ও রপ্তানি কারক সমিতি ও সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দ জানান, এই পথে ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় আমদানি ও রপ্তানি কম হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সোনাহাট শুল্ক স্টেশনে সার্ভার সমস্যার কারনে কাস্টম ক্লিয়ারেন্স পেতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়াতে এ সকল সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জানান, ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই ভারতের সাথে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ইমিগ্রেশেনের বিষয়টি এজেন্ডা হিসাবে রাখা হবে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বল্পতম সময়ে ইমিগ্রেশন চালু করা সম্ভব হবে। এছাড়া কুড়িগ্রামের দারিদ্র বিমোচনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসুচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ জেলায় একটি ইপিজেড ও জেটি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।