আ.লীগ-বিএনপির রাজনীতিতে মানুষ বীতশ্রদ্ধ
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। বর্তমান সরকার সংবিধান মোতাবেক গেলো নির্বাচনের মত একটি নির্বাচন করতে চায়। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। বিএনপি এই পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইছে না, তারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়। দেশে একটা সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। সামনের দিকে আরো খারাপ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। আমরা দুই দলের মাঝামাঝি অবস্থানে নিজস্বতা নিয়ে রাজনীতি করছি। আমরা দেশের মানুষের সামনে তৃতীয় এবং বিকল্প অপশন সৃষ্টি করেছি। আওয়ামী লীগ-বিএনপির রাজনীতিতে ভিতশ্রদ্ধ দেশের মানুষ একটি পরিবর্তন চাইছে। আমরা শক্তিশালীভাবে সাধারণ মানুষের সামনে বিকল্প হিসেবে দাঁড়াতে চেষ্টা করছি।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় মহিলা পার্টি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত কর্তৃত্ববাদী। সবকিছু তারা নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়, অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। শান্তির মিছিল হচ্ছে, কিসের শান্তি? দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতির কারণে মানুষের মাঝে শান্তি নেই। মানুষের আয় বাড়ছে না, কিন্তু ব্যয় বেড়েই যাচ্ছে। মানুষের মানসম্মান, সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। উৎকন্ঠার মধ্যে দেশের মানুষ জীবন কাটাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা মানুষের কাছে প্রহসন মনে হয়। দুই দল দেশের মানুষের জন্য কবরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে। দেশের মানুষ কবরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় না। কারো প্রতিবাদ করার শক্তি বা সাহস নেই। এমন শান্তির জন্য আমরা রাজনীতি করি না। আমরা মানুষের সত্যিকারের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রাজনীতি করছি। আগামী প্রজন্ম যেনো সুনাগরিক হিসেবে শান্তিময় পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে। সরকার এমন শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারেনি। শুধু, ক্ষমতায় থাকা এটা কোন রাজনীতি হতে পারে না। ক্ষমতায় আমরা যাবো জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য। জাতীয় পার্টি এই রাজনীতি জনগণের সামনে তুলে ধরতে চায়।
জাতীয় পার্টি আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে দেশের মানুষের জন্য একটি দেশ হবে। দেশের প্রজাদের জন্য একটি দেশ হবে। দেশের মালিক জনগণ, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যদি জনগণের ইচ্ছামত দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয় তাহলে দেশের জনগণ আবার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করবেন। স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রাখতেই আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।
জাতীয় মহিলা পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা আখতার, হেনা খান পন্নি প্রমুখ। আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।