×

সারাদেশ

১৮ বছরেও হয়নি রায়গঞ্জ পৌরসভার ডাস্টবিন!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:০০ পিএম

১৮ বছরেও হয়নি রায়গঞ্জ পৌরসভার ডাস্টবিন!

ছবি: ভোরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভার বয়স ১৮ বছর পার হলেও পৌরবাসীর শহরে উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও নির্মাণ হয়নি কোন ডাস্টবিন। গ্রামীণ এই শহরে ময়লা ফেলার নিরর্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিন এর অভাবে পাড়া-মহল্লায় রাস্তা ও নদী-নালার পাশে আবর্জনা স্তূপ ফেলা হচ্ছে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এ স্তূপ থেকে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরছে। এতে শহরের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পথচারীরা চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। এতে মারাক্তক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে দাবি পরিবেশ বিদের।

রায়গঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আয়তন ৬.২৯ বর্গ কি.মি. পৌরসভায় প্রায় ২৫ হাজার জনসংখ্যার ২৪ কর্মকর্তা রয়েছে। নিয়মিত কর প্রধানকারীর সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। পৌরসভায় প্রতি বছর আয় এবং ব্যয়ের হিসাব সমান সমান থাকে। পৌরসভার মধ্যে রয়েছে উপজেলার সকল দাপ্তরিক অফিসসহ ছোট-বড় শিল্প- প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, ক্লিনিক-হাসপাতাল, মাছের আড়ৎ, বাস টার্মিনাল, সিএনজি এবং অটোস্ট্যান্ড, হাট- বাজার, মার্কেট, পশু জবাইখানাসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এ থেকে প্রতিদিন গড় হিসেবে ১-২ কেজি ময়লা আবর্জনা তৈরি হয়। নির্ধারিত বর্জ্র্য ফেলার ডাস্টবিন না থাকায় ব্যাপক সমস্যায় পড়ছেন পৌরবাসী।

ধানগড়া মহল্লার নাম না প্রকাশে একাধিক বলেন, পৌরসভা হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত একজন মেয়র ময়লা- আবর্জনা ফেলোর জায়গা তৈরি করেননি। তাই পৌরবাসী ফাঁকা জায়গায় রাস্তা ও স্কুল কলেজের পাশ দিয়ে ময়লা ফেলেন আর এ কারণে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে এখান দিয়ে চলাচল করা পথচারীদের চরম সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা আরো জানান, মানুষ ময়লা ফেলার জায়গা খুঁজে না পাওয়ায়, একটু ফাঁকা জায়গা পেলেই সেখানেই ময়লা ফেলে। আর একজন ফেললে সবাই সেখানে ময়লা ফেলতে শুরু করে। পৌরবাসীর দ্রুত ডাস্টবিন স্থাপনের অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জের পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান বলেন, পৌরসভার নির্ধারিত জায়গা না থাকার কারণে ডাস্টবিন করা সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে ৬ মাস আগে জেলা প্রশাসক মহাদয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App