×

ফিচার

গাছে গাছে মুকুলের সৌরভ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম

গাছে গাছে মুকুলের সৌরভ

ছবি: ভোরের কাগজ

আমের জেলা খ্যাত মেহেরপুরের গাছে গাছে শোভাপাচ্ছে মুকুল। ছড়াচ্ছে মন মাতানো সুবাস। গাছের যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছে আম চাষিরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার ৯০ শতাংশ গাছেই মুকুল ধরেছে। যদিও গত বছর আমের ফলন ছিল খুবই হাতাশা জনক। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের ম ম গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে এবার ভাসছে সফলতার স্বপ্ন। মেহেরপুরে বিখ্যাত হিমসাগর আমের পাশাপাশি আম্রুপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি জাতের আম অন্যতম।

এখানকার মাটির গুণেই হিমসাগর, লেংড়া, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই ইত্যাদি জাতের আম খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, আশ্বিনা জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। তবে করোনার প্রভাবে বাজারজাত করতে না পারা ও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার কারনে বেশ কিছু আমের বাগান কেটে ফেলা হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে গতবারের সব লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করছেন বাগান মালিকরা ও ইজারাদাররা। তাই গাছের বাড়তি যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগানিরা। বিশেষ করে যে হিমসাগর ও ল্যাংড়া জাতের আম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব বাগানে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ পরিচর্যা। বাগান পরিষ্কার, পর্যাপ্ত সার-পানি ও মুকুল টিকিয়ে রাখতে নানা ধরনের স্প্রে ও কিটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। চাষিদের আশা আবহাওয়ার বড় ধরনের বিপর্যয় না হলে এবার আমের ভালো ফলন হতে পারে।

বাগান মালিক শাহরিয়ার লিওন বলেন, আমের অফ সিজন বলে কিছু নেই। গাছের প্রতি যত্নেশীল হলে সারা বছর আমের ফলন পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে প্রচুর মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার আমের রেকর্ড পরিমান ফলন হবে। লিওনের সাথে সাই দিয়ে মোসাররফ হোসেনও একই কথা বলেন। তবে মোসাররফের মতে আম সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আম সংরক্ষন বা প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা যদি মেহেরপুরেই থাকতো তবে বারমাসই মেহেরপুরের সুস্বাদু আমের স্বাদ পাওয়া যেত।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চাইনা পারভিন বলেন, মেহেরপুর জেলা সুস্বাদু আমের জন্য বিক্ষ্যাত। আমের মৌসুম আসলেই বাগানিদের ব্যস্ততা বেড়ে যাই। আমের মুকুল টিকিয়ে রাখা ও গুটি থেকে শুরু থেকে শুরু করে পুরো সময় জুড়ে বাগানিদের পরামর্শ দেয় কৃষি বিভাগ।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মেহেরপুরের হিমসাগরের বেশ চাহিদা রয়েছে। সেটি মাথায় রেখে প্রথম থেকেই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে আম সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষণাগার তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রনালয়কে জানানোর চেষ্টা চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App