বেআইনিভাবে জমি দখল করে রাখার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’। জমি বিতর্কে এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেন। তার আইনজীবীর পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে, অধ্যাপক সেনের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ তুলে তার সম্মানহানি করা হচ্ছে। এ জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে গণমাধ্যমে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে আইনি পথে হাঁটা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে চিঠিতে। এছাড়া, জমি বিতর্কে নোবেলজয়ী এই বাঙালি অর্থনীতিবিদকে একের পর এক চিঠি দেয়া বন্ধ করতেও বলা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে অমর্ত্যর পাওয়া জমি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিতর্ক চলছে। অধ্যাপক সেনকে বৃহস্পতিবার তৃতীয় চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিবের স্বাক্ষর করা সেই চিঠিতে আগের দুটি চিঠির কথা উল্লেখ করে বিতর্কিত জমির মাপজোখ করার জন্য দুই দিন সময় চাওয়া হয়েছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেন।

চিঠিতে আইনজীবী লিখেছেন, ‘আমার মক্কেল বিশ্বজুড়ে নমস্য (পূজণীয়) ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি। তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে যেভাবে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাতে তার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে।’

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জমি বিতর্কের মধ্যে বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক কর্তারা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ প্রকাশ্যে যে ধরনের মন্তব্য করছেন, তা অধ্যাপক সেনের সম্মানহানির পক্ষে যথেষ্ট। ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে পুরনো বিবৃতির জন্য গণমাধ্যমে ক্ষমাও চাইতে বলা হয়েছে চিঠিতে। স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ‘ক্ষমা না চাইলে, আমার মক্কেলের মতো বৃদ্ধ মানুষের মানসিক শান্তি নষ্ট করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।’

শুক্রবার রাতে প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, জমির মিউটেশনের জন্য আবেদন করেছেন অধ্যাপক সেন। কিন্তু শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে অমর্ত্য জানিয়ে দেন, এমন কোনো আবেদন করেননি তিনি।