×

খেলা

টাইগ্রেসদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২৫ পিএম

টাইগ্রেসদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা

টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি

আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রবিবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টাইগ্রেসদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে রাত ১১টায় মাঠে নামবে দুই দল। খেলা দেখা যাবে স্টার স্পোর্টস-২-তে। এছাড়া, ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম র‌্যাবিটহোলবিডিতেও দেখা যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব ম্যাচ।

এর আগে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনবার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে জয়ের পাল্লা ভারী লঙ্কানদের দিকেই। তাদের ২টি জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছিল একটি ম্যাচে। আর টি-টোয়েন্টিতে ৮ ম্যাচে ছয়টিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। দুটিতে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে নিগার সুলতানা জ্যোতি বাহিনী। গ্রুপ পর্বে টাইগ্রেসদের সবগুলো ম্যাচ হবে কেপটাউনে। এ পর্যন্ত চারবার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চারবারেই প্রথম রাউন্ড থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে তারা।

মূল লড়াইয়ে নামার আগে আইসিসির নির্ধারিত দুটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে খেলেছে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ১০টি দলই। এর মধ্যে দুই ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে কেপটাউনের ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সালমা খাতুন-নিগার সুলতানারা হেরেছে ৬ উইকেটে। প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০১ রানের বেশি করতে পারেনি। জবাবে পাকিস্তান তা পেরিয়ে গেছে ২৪ বল হাতে রেখেই। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে স্টেলেনবোশ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের এক নম্বর গ্রাউন্ডে ৫২ রানে হারে বাংলাদেশ। টাইগ্রেস বোলারদের নখদন্তহীন বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে ভারত ১৮৩ রানের পাহাড় গড়ে। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৩১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

চারবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও এবার বিশ্বকাপে ভালো কিছু করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি বলেন জ্যোতি বলেন, ‘এখানে এসে আমরা খুব আনন্দিত, বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। আমরা অনেকেই অনেক বছর ধরে খেলছি, তবে এটা আমাদের মাত্র পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালের পর আমরা কখনো জিততে পারিনি, কিন্তু এবার নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়ব। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের খেলার সুযোগ খুব একটা হয় না। ফলে আমরা সেভাবে প্রস্তুতিও নিতে পারি না। এ ধরনের টুর্নামেন্টে আমরা সেই সুযোগ পাই। এটা আমাদের জন্য সুযোগ নিজেদের সামর্থ্য আর প্রতিভা দেখানোর। আমরা কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড সফর করেছি। যদিও সেখানে জিততে পারেনি, তবে অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের দলটা গত দুই মাসে অনেক পরিশ্রম করেছে। আমরা এখন বিশ^কাপে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে ভারতীয় দৈনিক ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে অলরাউন্ডার জাহানারা আলম বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা নিজেদের একটা ছাপ রাখতে চাই। অবশ্যই সব দলের বিপক্ষে জেতার জন্য খেলব আমরা।’ ১০ দলের অংশগ্রহণে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক দল হিসেবে সুযোগ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা সাতটি দল টুর্নামেন্টে সরাসরি খেলার সুযোগ পায়। বাকি দুই দল বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড সুযোগ পায় বাছাইপর্ব খেলে। দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে এই ১০ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় মূল আসরে গ্রুপ ‘এ’ তে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। এছাড়া স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও শ্রীলঙ্কা খেলবে এই গ্রুপে। বাছাইপর্বে রানার্সআপ হওয়াতে গ্রুপ ‘বি’তে খেলার সুযোগ পায় আয়ারল্যান্ড। গ্রুপে আরো আছে গতবারের রানার্সআপ ভারত। সঙ্গে আছে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এই আসরের ম্যাচগুলো। কেপ টাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট মাঠ, পার্লের বোল্যান্ড পার্ক ও ঘেবেখার সেন্ট জর্জেস পার্ক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। গ্রুপপর্বের ২০ ম্যাচসহ দুটি সেমিফাইনাল ও একটি ফাইনাল মিলিয়ে মোট ২৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি কেপটাউনে ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে অষ্টম নারী টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের। প্রতিটি দল তাদের গ্রুপের অন্য চারটি দলের সঙ্গে একবার মুখোমুখি হবে। গ্রুপ পর্ব শেষে প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনাল খেলবে। নকআউট ম্যাচগুলো হবে কেপটাউনে। দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত গত আসরে ভারতকে ৮৫ রানে হারিয়ে ঘরের মাঠে শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সাত আসরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া একবার করে শিরোপার দেখা পেয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App