×

রাজধানী

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ইডেন কলেজছাত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৮ পিএম

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ইডেন কলেজছাত্রী

ছবি: ইডেন কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত মোনায়েম হোসেন জেমস। ভোরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মোনায়েম হোসেন জেমস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন ইডেন কলেজের এক ছাত্রী। অভিযুক্ত মোনায়েম হোসেন জেমস উপজেলা সগুনা ইউনিয়নের হেমনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।

মামলা সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় তরুণী ঢাকা ইডেন কলেজে থাকাকালীন তাড়াশ উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা জেমসের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং একপর্যায়ে জেমস বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তরুণীকে তার রসুলবাগের একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ একাধিকবার ধর্ষণ করে। এর মধ্যে গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে জানতে পারেন তিনি ৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি জেমসকে জানালে বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলে সে। পরে গর্ভবতী হওয়ার কথা জেমসের বাবা ও ভাইকে জানালে তারা তা মেনে না নিয়ে বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলেন তারা। তবে ৪ জানুয়ারি জেমসের সাথে বিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে বিয়ে না দিয়ে কৌশলে ৩ ফেব্রুয়ারি অন্যত্র মোনায়েম হোসেন জেমসকে বিয়ে করান। বিষয়টি জানতে পেরে ওই তরুণী ৫ জানুয়ারি ঢাকার লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিষয়ে লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএম মোকছেদ, পিপিএমের সঙ্গে কথা হলে তিনি মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত চলছে। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা জেমসসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অভিযুক্ত জেমসের বাবা আব্দুল ওহাবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু সঞ্জিত কর্মকারের সাথে কথা হলে তিনি ভোরের কাগজকে জানান, আমি ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি এবং মামলার বিষয়টিও শুনেছি। যদি ঘটনা সত্যি হয়, তাহলে অবশ্যই জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App