×

পুরনো খবর

বইপাঠ ও একুশে বইমেলার গুরুত্ব

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:১৭ এএম

বইপাঠ ও একুশে বইমেলার গুরুত্ব
বই হচ্ছে সভ্যতার সূতিকাগার, স্বপ্নের কারিগর, জ্ঞানের আঁধার ও মানুষের সবচেয়ে ভালো ও বিশ্বস্ত বন্ধু। একজন মানুষ যে পেশায় যত দক্ষই হোক না কেন, যত বড় পণ্ডিত বা জ্ঞানীই হোক না কেন, তার দক্ষতা ও পেশাদারিত্বে উৎকর্ষতা অর্জনের জন্য তাকে বারবার বইয়ের কাছেই ফিরে আসতে হয়। কারণ জ্ঞানের সূচনা বই থেকে শুরু হয় এবং সে জ্ঞানকে সামগ্রিকভাবে কাজে লাগানোর দক্ষতা বই থেকেই পেয়ে থাকে। বই পড়েই জ্ঞানার্জন করতে হয়। পৃথিবীতে যারা যত বড় হয়েছেন, জগদ্বিখ্যাত হয়েছেন, তারাই বেশি বেশি জ্ঞান অন্বেষণে বই পড়েছেন। পৃথিবীর যে কোনো বরেণ্য মনীষীদের জীবন ইতিহাস ঘাঁটলে এ কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়। দেশ ও জাতি গঠনে বইয়ের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। আর সহজ উপায়ে মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ছড়াতে সমাজের জন্য বই অপরিহার্য। পৃথিবীতে নানা ধরনের মেলা বসে, এসবের মধ্যে বইমেলা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ মেলা। কারণ এখানে লেখক পাঠকদের মহামিলন হয়, ভাব ও মতবিনিময় হয়, জ্ঞানের বিস্তার ঘটে। আমাদের দেশে লেখক পাঠক শিশু বৃদ্ধ সবার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ফেব্রুয়ারি মাস। কারণ ফেব্রুয়ারিজুড়েই চলে সবার প্রাণপ্রিয় অমর একুশে বইমেলা। একুশের চেতনার পূর্ণাঙ্গ ফসল আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকে একুশের চেতনায় ধীরে ধীরে অমর একুশে বইমেলা একটি স্থায়ী রূপ পেয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বাংলা একাডেমিতে প্রথম ৭ দিনব্যাপী একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানকে ঘিরেই মুক্তধারার প্রকাশক চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমির সামনের আমতলায় পাটের চট বিছিয়ে নিজের প্রকাশনার কিছু বই নিয়ে একুশে বইমেলার সূচনা করেন। তারপর ধীরে ধীরে অন্য প্রকাশকরা মেলায় যোগ দিতে শুরু করেন। বই পড়া একই সঙ্গে সুস্থ বিনোদন ও শিক্ষামূলক কাজগুলোর মধ্যে একটি। অবসরে বইয়ের চেয়ে ভালো বন্ধু ও বিনোদন আর কিছুই হতে পারে না। বই পড়া মানসিক প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে, মস্তিষ্কের চিন্তা করার খোরাক জোগায়, সৃজনশীলতা বাড়ায় এবং তথ্য ধরে রাখার ক্ষমতা সৃষ্টি করে। বই পড়লে মানুষ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক মনস্ক হয়ে ওঠে। সুস্থ বিনোদন মানুষের মানসিক বিকাশে নানাভাবে সহায়তা করে। পাঠাভ্যাস একটি নির্মল বিনোদনের উৎস। ভালো বই পড়া, জীবনশৈলী ভালো সিনেমা দেখা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের জীবনীগ্রন্থ পড়া, নিয়মিত খবরের কাগজ পড়া যেমন দক্ষতা ও মনের খোরাক বাড়ায়, তেমনি জ্ঞানচর্চা এবং সৃজনশীল কাজ মানসিক বিকাশে অন্যতম ভূমিকা রাখে। সবচেয়ে কাছের বন্ধুও মানুষকে ছেড়ে যেতে পারে কিন্তু বই সেটা করে না। এজন্য বই হোক মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু, সুস্থ বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম ও সভ্যতা বিকাশের চাবিকাঠি। বই পড়ে জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে, দেশ ও জাতি এবং মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করতে পেরেছে, এমন মানুষের সংখ্যা অধিক। বইয়ের মতো আপন বন্ধু পৃথিবীতে আর কেউই নেই। আসুন সবাই বইমেলা থেকে বেশি বেশি কিনি, আর জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করি। বই হোক আমাদের নিত্যসঙ্গী, অমর একুশে বইমেলা হোক সর্বশ্রেষ্ঠ মেলা। মো. জিল্লুর রহমান ব্যাংকার ও লেখক সতিশ সরকার রোড, গেণ্ডারিয়া, ঢাকা। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App