ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানিতে যোগ হলো নতুন মাত্রা। এবার রপ্তানি হলো সবজি। বন্দরটি দিয়ে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ টন সবজি রপ্তানি হয়। এর মধ্যে ছিলো, কচুর লতি, পিঁয়াজ পাতা, করলা, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি। প্রতি টন সবজি রপ্তানি হয় চারশ' মার্কিন ডলারে।

সবজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডেফোডিল ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. নাছির উদ্দিন জানান, এ বন্দর দিয়ে আগে কখনো সবজি রপ্তানি হয়নি। অনেক দিনের চেষ্টার ফলে সবজি রপ্তানি শুরু হলো। ত্রিপুরার আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলা ও আগরতলার বিভিন্ন সবজি বাজার পরিদর্শন করা হয়। সেখানকার আমদানিকারকরা চাহিদাপত্র দেন। সেই চাহিদা পত্রের আলোকে প্রথম অবস্থায় আট হাজার ডলারের সবজি রপ্তানির চুক্তিপত্র করা হয়। পাঁচ টন করে চারটি শিপমেন্টে সবজি পাঠাবো হবে। এর মধ্যে বুধবারের শিপমেন্টসহ পনের টন সবজি রপ্তানি হয়েছে।

আখাউড়া স্থল বন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট সামাউল ইসলাম জানান, মূলত আখাউড়া স্থল বন্দর একটি রপ্তানিমুখী স্থল বন্দর। কিন্তু বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ কমে গেছে। এই সবজি রাপ্তানীর মাধ্যমে স্থল বন্দরটি আবারও চাঙা হয়ে উঠবে এবং দেশও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। তার পাশাপাশি বন্দরের রাজস্ব আদায়েও ভূমিকা পালন করবে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের প্রথম আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ১৩ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আখাউড়া স্থলবন্দর। এরপর থেকে এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার রড, সিমেন্ট, পাথর, প্লাস্টিক, মাছ, তুলা, ভোজ্য তেল ও খাদ্য সামগ্রীসহ অর্ধশত পণ্য রপ্তানি হতে থাকে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায়। রপ্তানিকৃত এসব পণ্য আগরতলা থেকে সরবরাহ হয় ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত সাতটি রাজ্যে।