পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে দীর্ঘ ১০ দিন বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এদিকে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার ড. মুহাম্মদ কামরুল ইসলামের অধীনে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
রেজিস্ট্রারকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে আন্দোলনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াজকুরুনী, কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মজিবুর রহমান মৃধা, সাধারণ সম্পাদক ইউনুছ শিকদার, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের আহবায়ক আব্দুল বারেক হাওলাদার ও সদস্য সচিব মো. শাহাদাত হোসেন।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কর্মে অদক্ষ ও দায়িত্ব পালনে অনুপযুক্ত প্রতিয়মান হয়েছেন। এদিকে রেজিস্ট্রারের প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনাস্থা প্রকাশের পরও তার বহাল তবিয়তে থাকা নিয়ে রেজিস্ট্রার পদে কামরুলে মধু কেন এমন প্রশ্ন তুলেছেন কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল।
তিনি বলেন, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের নিয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রারের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বার্থ বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকেন। মূলত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দমন ও দুর্নীতির কালো থাবা পবিপ্রবিতে অব্যাহত রাখতেই রেজিস্ট্রার এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এ সময় তিনি পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করাসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে অপসারণ দাবি করেন।
তারা আরো বলেন, এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী মূলত সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন। উপাচার্যের নির্দেশের বাইরে কোন কাজ করার এখতিয়ার নেই তার। কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। এদিকে সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলর দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।