×

মুক্তচিন্তা

৬ উপনির্বাচন : সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে ওঠার লক্ষণ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:১৭ এএম

৬ উপনির্বাচন : সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে ওঠার লক্ষণ
সরকার পতন আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির নারী সংসদ সদস্যসহ মোট ৭ জন পদত্যাগ করার পর স্পিকার কোনোরকম বিলম্ব কিংবা ওজর-আপত্তি না তুলে তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের অংশ হয়ে পড়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তখনো প্রায় ১ বছর বাকি থাকায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত না করে নির্বাচন কমিশনের সম্মুখে বিকল্প কোনো পথ খোলা ছিল না। বিএনপি এবং বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এমনিতেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে রয়েছে। তারা এই সরকার, সংসদ এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ১০ দফার দাবিনামা ডিসেম্বর মাসেই উপস্থাপন করেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন এসব রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি এখনো শহরকেন্দ্রিক কিছু দলীয় সভা, অবস্থান ধর্মঘট এবং পদযাত্রার মধ্যে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের আন্দোলনের প্রতি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের অংশগ্রহণ ছাড়া সাধারণ মানুষের আগ্রহ খুব বেশি পরিলক্ষিত হয় না। এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, বৈশ্বিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের অভিঘাত বাংলাদেশেও কমবেশি পড়েছে। ফলে সাধারণ এবং মধ্যবিত্তের জীবন জীবিকা এই মুহূর্তে অনেক বেশি তাদের কাছে জরুরি। তাছাড়া বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশের অর্থনীতি চাপে পড়েছে- এ বিষয়টি সাধারণ মানুষও কমবেশি বোঝে। দেশের অর্থনীতির সংকটের জন্য তারাও এককভাবে সরকারকে দায়ী করছে না। যদিও স্থানীয় নেতাকর্মীদের কারো কারো প্রতি মানুষের সমালোচনা রয়েছে। তবে গত এক দশকে সমাজের নানা সূচকে মানুষের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থানের যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে। তাই এখনো পর্যন্ত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক এই সংকটকে সহ্য করার অবস্থা যেমন সৃষ্টি হয়েছে, তেমনই সরকারের দিক থেকে নানা ধরনের প্রণোদনা প্রান্তিক নিম্নবিত্তের মানুষজন লাভ করায় এই সংকট ভয়াবহ কোনো খাদ্য সংকটে তাদের ফেলেনি। ফলে বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগই করুক না কেন তার পুরোপুরি গ্রহণ করে তাদের কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কোনো যৌক্তিক বাস্তবতা অনেকের মধ্যেই খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। কিছু কিছু মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চাপে পড়েছে, সমালোচনাও করছে। কিন্তু বাস্তবতাটাও তারা অনেকটা বুঝতে পারছে। সে কারণে আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার মতো সমর্থন এই পর্যায়ের মানুষের মধ্যে এখনো তেমন দেখা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে, বিএনপি এবং জামায়াতের নেতৃত্বের জোটে যত রাজনৈতিক নেতা ও দলের নামই শোনা যাক না কেন তাদের রাজনৈতিক অবস্থান মানুষের কাছে একেবারে অজানা নয়। তাছাড়া বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার অবস্থানও সবার জানা আছে। ফলে দেশের বিরাট সংখ্যক মানুষ নেতৃত্বশূন্য জোট হিসেবে এটিকে মনে করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কারো কারো প্রতি সমালোচনা থাকলেও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় অনেকে দেখছেন না। সে কারণে সংসদ থেকে বিএনপির পদত্যাগ, নানা কর্মসূচি, ১০ ও ২৭ দফা, ৫০-এর অধিক দল নিয়ে বিএনপির অধীন জোট গঠন করা ইত্যাদিতে মানুষ খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কিছু দেখছে না। দেশের রাজনীতি নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে অনেকেই দুলছে। কিন্তু বিরোধী আন্দোলনে আশার সঞ্চার করার মতোও তেমন কিছু দেখছে না। ফলে বিএনপি যতটা আশা করেছিল মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে, তাদের প্রতি সমর্থন জানাবে তেমন দৃশ্য এখনো পর্যন্ত কোথাও দেখা যায়নি। সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা- এসব দাবির প্রতিও খুব বেশি আস্থার লক্ষণ দেখা যায় না। আবার ২০১৪-এর জ¦ালাও-পোড়াও প্রতিদ্ব›িদ্বতাহীন, কিংবা ২০১৮-এর মতো বিরোধীদের লেজেগোবরে অবস্থা, সরকারি দলের কোথাও কোথাও বিতর্কিত ভূমিকায় নির্বাচন দুটি বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। দুই নির্বাচনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একরকম ছিল না। এ নিয়ে দেশে নানারকম সমালোচনা ও বিভ্রান্তিও রয়েছে। বিরোধী দল দুই নির্বাচনের পরিস্থিতিকে একাকার করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ সেখানে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাও তুলে ধরছে না। ফলে গত দুই নির্বাচন নিয়ে একটি আস্থা-অনাস্থার সংকট ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা আগে থেকেই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এই কঠোর অবস্থানটি তাদের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বের শূন্যতা ও সংকটকেন্দ্রিক নাকি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের ধারণাকেন্দ্রিক- সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আগামী নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ ২০১৪ কিংবা ২০১৮-এর মতো নয়, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথেই হাঁটার লক্ষণ ধীরে ধীরে হলেও স্পষ্ট হতে শুরু হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সরকারি দলও নির্বাচনে এখন সংযত আচরণ করছে, নির্বাচন কমিশনও মেরুদণ্ড কিছুটা সোজা করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে- এর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে করি না। দেশি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকার চাইবে না কিংবা শেখ হাসিনা চাইবেন না নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারাক। এর কিছুটা লক্ষণ পাওয়া গেল ৬টি উপনির্বাচনেও। বলে রাখা ভালো প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ছেড়ে দেয়া এই ৬টি আসনে সরকারি দল, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি এবং আরো কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া যেহেতু বিরোধী দলের অংশগ্রহণ হবে না এমনটি আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। তাই নির্বাচনী উত্তাপ এই ৬টিতে ছিল না। এই উপনির্বাচন অনেকটা নিয়মরক্ষার নির্বাচন হবে সেটিও আগে থেকে বুঝা গিয়েছে। তবে এই ৬টি উপনির্বাচন যেহেতু তীব্র কোনো প্রতিদ্ব›িদ্বতায় পড়েনি, তাই আগের মতো হলে অনেকেরই ধারণা ছিল আওয়ামী লীগ বা সরকারদলীয় প্রার্থীরা জোরজবরদস্তি বা নিয়মভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু সেই চেষ্টা নির্বাচনের দিন খুব একটা কেউ করেনি। গাইবান্ধার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এবং তাদের সমর্থকরা সতর্ক হয়ে গিয়েছিলেন। তাছাড়া আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে উপনির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ দেয়ার অবস্থানে ছিল না। সেটি করা হলে বিরোধীরা মাগুরা উপনির্বাচনের উদাহরণ টানার যথেষ্ট সুযোগ পেত। আওয়ামী লীগ রাজনীতির এই অবস্থানটি বেশ প্রজ্ঞার সঙ্গেই নিয়েছে। ফলে এই ৬টি উপনির্বাচনের মধ্যে দুটি আসনের জয়-পরাজয় ও প্রার্থী নিয়ে কিছু নেতিবাচক খবর এবং লেখালেখি গণমাধ্যমে সৃষ্টি হলেও নির্বাচনী ফলাফলে সরকারি দলের হস্তক্ষেপের কোনো অভিযোগ প্রমাণসহ তুলে ধরতে পারেনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কেউ কেউ উত্তাপবিহীন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, সেটি তারা করতেই পারেন। আবার কেউ কেউ বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে হিরো আলমের শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্বতা নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ হাজির করছেন। এই বিশ্লেষণগুলো নানামাত্রিক হচ্ছে। তাতে চটুল সংস্কৃতির চর্চা রাজনীতিতেও প্রবেশ করেছে কিনা সেটি নিয়েও কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। উপনির্বাচন হলেও এটি একটি সংসদীয় আসনের নির্বাচন ছিল। হিরো আলম যদিও সামাজিক গণমাধ্যমে নানা চটুল কনটেন্ট ছড়িয়ে এক ধরনের সস্তা বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করে থাকেন তাই তার অবস্থানটি সেখানেই এতদিন ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে তার বিরুদ্ধেও একটা বিরাট অংশের মানুষের সমালোচনা দেখা গেছে। তিনি আবার বগুড়ার এই দুই উপনির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে বসেন। বগুড়া-৪ আসনে তার পক্ষে একটি অংশ বেশ জোরেশোরেই সমর্থন জানায়। ফলে সে আসনের রাজনীতিবিদ এবং জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতার মুখে পড়েন। সেটি আবার অনেকেই খুব উপভোগ করছিলেন। হিরো আলমের ছুঁইছুঁই ভোটপ্রাপ্তি নিয়ে ভোটারদের কার কী মনোবৃত্তি ছিল আমরা জানি না, তানসেনকে পরাজিত করার কোনো সংঘবদ্ধ চেষ্টা ছিল কিনা তাও জানি না। তবে হিরো আলম শেষ পর্যন্ত তানসেনকে পরাজিত করলে অনেকে উল্লসিত হতেন এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু জাতীয় সংসদে হিরো আলম সাময়িক কোনো স্থূল কিংবা চটুলতার উদাহরণ সৃষ্টি করতেন কিনা তাও বলা যায় না। বগুড়া-৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে তাই মুখরোচক কিছু আলোচনা, সমালোচনা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তবে এর মাধ্যমে রাজনীতিতে কৌতুক, ভাঁড়ামি এবং সস্তা কিছু বিনোদনের সুযোগ কখনো কখনো কেউ কেউ নেয়ার চেষ্টা করে সেটি বোঝা গেল। আমাদের সমাজের অনেক অংশই এখনো রাজনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিনোদন ইত্যাদিতে মানের অবস্থানে দেখতে অভ্যস্ত হয়নি। সেটি বোধহয় ভেবে দেখা যেতে পারে। অবশ্য এই হিরো আলমই বগুড়া-৬ আসনে মাত্র ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেন। বিজয়ী এবং প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর চেয়ে তিনি অনেক পেছনে ছিলেন। সুতরাং এই দুই আসনের ভোটপ্রাপ্তির চিত্র যেমন ভিন্ন, এর নেপথ্যের ভোটাররাও তেমন ভিন্ন ভিন্ন রুচিবোধের পরিচয় দিয়েছিল। সুতরাং হিরো আলমকে নিয়ে আলোচনাও একক অবস্থান থেকে করার কিছু নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনটি নিয়ে সরকার দলের অবস্থান খুব একটা স্পষ্ট হয়নি। তবে উকিল আব্দুস সাত্তার বিএনপি ছেড়েছেন। তাই আগামী নির্বাচনগুলোতে তার অবস্থান কী হবে সেটি দেখার বিষয়। বিএনপির অপর পদত্যাগী নেতা আবু আসিফ আহমেদ নিজেকে কেন ‘গুম প্রার্থী’ হিসেবে হাজির করলেন তা কারো কাছেই স্পষ্ট হয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই আসনেই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগই ছিল। অভিযোগ আছে আওয়ামী লীগের মূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিএনপি প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে কলকাঠি নাড়িয়েছে। কিন্তু তাদের কলকাঠিতেও বিদ্রোহীরা জয়ের মালা গলায় পড়তে পারেনি। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন আলী ২০১৪ সালে এমপি ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি জামানত হারান। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজউদ্দীন আহম্মেদ লাঙল প্রতীকে ৮৪ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র রায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩০৯ ভোট। বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান ওরফে রিপু ৪৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৮৬৪ ভোট। নির্বাচনের দিন সিইসি ২০-২৫ শতাংশ ভোট পড়ার কথা বলেছিলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছিলেন ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি আসনেই এর চেয়ে অনেক বেশি ভোট পড়েছে। যেহেতু ভোট নিয়ে কোনো কারচুপির সুযোগ ঘটেনি তাই অন্তত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আগাম মন্তব্য না করাই কি শ্রেয় ছিল না? মির্জা ফখরুল তো ঢাকা বসেই ৫ শতাংশের কথা দাবি করেছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত এই ৬টি উপনির্বাচনের কোনোটিতেই ভোট কারচুপির অভিযোগ তিনি করেননি। সেটি ঘটলে নিশ্চয়ই তিনি, অন্যরা কিংবা গণমাধ্যমও চুপ করে থাকত না, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও মুখ বন্ধ করে থাকতেন না, সমালোচনার ঝড় উঠতই। বিদেশিরাও সরকারের কথায় আস্থা রাখতেন না। কিন্তু সেসব তো তেমন কিছু ঘটেনি। সাধারণ নির্বাচনে এই ৬টি আসনের ভোটারদেরও অবস্থানে পরিবর্তন আসবেই। তখনি বোঝা যাবে এই আসনগুলোর তখনকার যোগ্য জনপ্রতিনিধি কারা হবেন। আপাতত ৬টি উপনির্বাচন যেহেতু সুষ্ঠু নির্বাচনের সড়কে উঠতে পেরেছে, আগামী দিনের বাকি নির্বাচনগুলোর পথ প্রশস্ত করবে, মহাসড়ক নির্মিত হবে। সেই অবস্থান নির্বাচন কমিশন, সরকারি দল এবং অন্যরা বজায় রাখবেন এটিই সবার প্রত্যাশা। মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App