×

সারাদেশ

কোম্পানীগঞ্জে গুলির ঘটনায় ডাকাত গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৫৪ পিএম

কোম্পানীগঞ্জে গুলির ঘটনায় ডাকাত গ্রেপ্তার

ডাকাত সুহেল মিয়া। ছবি: ভোরের কাগজ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সুহেল মিয়া নামে দুর্ধর্ষ এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুহেল বরমসিদ্বিপুর গ্রামের আসাদুল হকের ছেলে। জানা যায়, সুহেল মিয়া বেশ কিছুদিন থেকেই অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে ২০১০ সালে একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়াও ২০১২, ২০১৬ ও ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে ৩টি মাদক মামলা হয়। আদালত তাকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছিল। গত ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৭টায় কোম্পানীগঞ্জের পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের ঢালারপাড় ও গাছঘর গ্রামের মধ্যেবর্তী হাওর এলাকায় সাদ্দাম হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল চালককে গুলি করে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। এই মামলায় জড়িত থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, মোটরসাইকেল চালককে গুলি করে আহত করার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জানা যায়, গত মাসের ৩ তারিখে অজ্ঞাত ব্যাক্তি কর্তৃক সাদ্দাম মিয়াকে গুলির ঘটনার পেছনে মাদক ছিনতাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। চোরাচালানের সময় একাধিক ব্যক্তি সুহেল মিয়ার কাছে থাকা মাদক ছিনতাই করতে তার পথরোধ করেন। সে সময় দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি হয়। মাদক রক্ষায় সুহেল মিয়া পিস্তল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। সে সময় সাদ্দাম মিয়া গুলিতে আহত হন। এর ৮ দিন পর কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন আহত সাদ্দামের ভাই শরিফুল ইসলাম। মামলার এজাহারে সাদ্দামকে একজন মোটরসাইকেল চালক দেখানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারদলীয় কোম্পানীগঞ্জের এক নেতা জানান, নজির ডাকাত সুহেল মিয়ার পিছু নিয়েছে তখন থেকেই যখন সে সীমান্ত এলাকায় ছিল। গুলির ঘটনার আহত সাদ্দামকে উদ্ধার করতে সেখানে উপস্থিত হোন সাদেক মিয়া নামের আরেক যুবক। গুলির ঘটনার ৮ দিন পর্যন্ত আত্মগোপনে ছিলেন এজাহারের দ্বিতীয় স্বাক্ষী নজির মিয়া। সে সময় রহস্যজনক কারণে এ ঘটনার বিষয়ে আদ্যপ্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি আহত সাদ্দাম পক্ষ। নজির মিয়ার ব্যবহৃত ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনটিও অজ্ঞাত কারণে বন্ধ ছিল। ঘটনার ৮দিন পরে থানায় মামলা হলেও তথ্য উদঘাটনে মরিয়া কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছে আহত সাদ্দাম, স্বাক্ষী নজিরসহ একাধিক যুবক।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, সন্দেহের তালিকায় থাকা নজির মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি অজ্ঞাত কারণে এখনো পর্যন্ত বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আহত সাদ্দামের বুকের জখম হওয়া স্থান থেকে এখনো গুলিটি বের করতে পারেনি চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় ডাকাত সুহেলকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্যে সুহেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App