×

আন্তর্জাতিক

ইদলিবে যেন ‘কেয়ামত’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:২১ পিএম

ইদলিবে যেন ‘কেয়ামত’

ছবি: সংগৃহীত

১০ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে সিরিয়া। যুদ্ধের এই ভয়াবহতার মধ্যেই আরো ভয়াবহ যমদূত হিসেবে ভূমিকম্প নাড়া দিয়েছে দেশটিকে। অবস্থা এমন বেগতিক যে, সেখানকার বাসিন্দারা যেন এই ভূমিকম্পকে ‘সাক্ষাৎ কেয়ামত’ হিসেবে মনে করছেন। আবার অনেকে ভাবছেন, এ যেন প্রলয়েরই কাছাকাছি সময়ের ইঙ্গিত অথবা প্রলয়েরই ইঙ্গিত।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে। এর ফলে সিরিয়ার ইদলিব ও আলেপ্পো ভয়ংকররূপে কেঁপে ওঠে। প্রাণ বাঁচাতে মানুষ প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে রাস্তায় আশ্রয় নেয়। শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে ঘুমাতে। যুবকরা যতটা সম্ভব মানুষকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। সিরিয়ার বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে কাজ করা একটি উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে টিকে থাকা অবকাঠামো এরইমধ্যে অবিরাম বোমাবর্ষণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে ভূমিকম্পের কারণে সেগুলো আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি।

শক্তিশালী এই ভূ-কম্পনের বর্ণনা দিয়ে ইদলিবের বাসিন্দা আলুশ বলেন, ভূমিকম্প শুরু হওয়ার পর আমরা যখন বাড়িটি খালি করছিলাম, তখন আমরা দেখলাম বাড়িটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তখন আমি আমার নাতনিকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হই। আমাদের বাড়ি থেকে বের হতে দেরি হয়ে গেছিল। আমি আরো কয়েকটি ছোটখাটো আঘাত পেয়েছি। তার চোখ দিয়ে এ সময় অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিল। আলুশ বলেন, একই ভবনে বসবাসকারী আরো দুটি পরিবারের সদস্যরা সময়মতো বের হতে পারেনি। আমরা এখানে আজ যা দেখেছি তার একমাত্র তুলনা হতে পারে ‘কেয়ামত’।

প্রসঙ্গত, সোমবার ভোররাত চারটা ১৭ মিনিটে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়াকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প। বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধেও যে ক্ষতি হয় না, তা একদিনেই হয়ে গেলো ভূমিকম্পের কারণে। হাজার হাজার ভবন ধ্বসে পড়েছে দুই দেশে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বেসামরিক লোকের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া, তুরস্ক, সিরিয়া ও সিরিয়ার বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো সর্বত্রই হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App