ইদলিবে যেন ‘কেয়ামত’

আগের সংবাদ

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে আড়াই কোটি লোক ক্ষতিগ্রস্ত: ডব্লিউএইচও

পরের সংবাদ

ধ্বংসস্তুপে মেয়ের নিথর হাত ধরে বসে আছেন বাবা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ , ৭:২৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ , ৭:৩৩ অপরাহ্ণ

ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে ১৫ বছর বয়সী মেয়ের প্রাণ। ধংসস্তুপে চাপা পড়া মেয়ের মরদেহ উদ্ধার কর‌তে না পেরে শোকে নির্বাক হয়ে বসে আছেন বাবা। তার চোখে পানি নেই, চোখেমুখে ফুটে উঠেছে হতাশা আর অসহায়ত্ব। তার অসহায়ত্বের কাছে হার মেনেছে শোকও।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তার এই অসহায়ত্বের মুহূর্ত। খবর বিবিসির।

চাপা পড়া মেয়ের মরদেহ এখনও উদ্ধার কর‌তে পারেননি মেসুত হ্যান্সার। ছবি: এএফপি

ওই বাবার নাম মেসুত হ্যান্সার। তিনি তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের বাসিন্দা। স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হওয়া ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মেসুত হ্যান্সারের ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ইরমাকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা এখনও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও মেসুত হ্যান্সার ওই ধংসস্তুপ ছেড়ে যাননি। মেয়ের হাত ধরেই তার মরদেহের পাশে বসে রয়েছেন।

তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।

বিবিসি বলছে, তুরস্কে ৩ হাজার ৪১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ভূমিকম্পের পর থেকে এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে সাত হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তুষারপাত ও আফটার শকের ( শক্তিশালী কম্পন) কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

এদিকে ভূমিকম্পে সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা এক হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। দেশজুড়ে তিন হাজার ৪১১ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

দুই দেশেই পাঁচ হাজার ৭৭৫টি ভবন ধসে পড়েছে। এতে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।

এনজে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়