×

খেলা

বিপিএলে বিদেশিদের টেক্কা দিয়ে স্থানীয়রা শীর্ষে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৯ পিএম

বিপিএলে বিদেশিদের টেক্কা দিয়ে স্থানীয়রা শীর্ষে

ব্যাটহাতে তৌহিদ হৃদয় ৯ ম্যাচ থেকে ৩৭৩ রান নিয়ে শীর্ষে আছেন

বিপিএলে বিদেশিদের টেক্কা দিয়ে স্থানীয়রা শীর্ষে

বল হাতে নাসির হোসেন ১১ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন

এবারের বিপিএলে খেলছে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন পর্যন্ত খেলা হয়েছে ৩৬টি। প্লেঅফের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স,ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স। সিলেট স্ট্রাইকাস ১১ ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রয়েছে। ১০ ম্যাচ থেকে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে ফরচুন বরিশাল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডা দ্বিতীয়,তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ব্যাটে- বলে শীর্ষ পাঁচে বিদেশিদের টেক্কা দিয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে চারজনই বাংলাদেশের। তৌহিদ হৃদয় ৯ ম্যাচ থেকে ৩৭৩ রান নিয়ে শীর্ষে আছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ১১ ম্যাচ থেকে ৩৭১ এবং সাকিব আল হাসান ১০ ম্যাচে ৩৪৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। চতুর্থ স্থানে আছেন পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদ। ১০ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৪৭ রান। পঞ্চম স্থানে আছেন নাসির হোসেন। ১১ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৪২ রান।

শীর্ষ পাঁচ বোলারের তালিকায় ৩জন বাংলাদেশের দুই জন আছেন পাকিস্তানের। নাসির হোসেন ১১ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে আছেন শীর্ষে। পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ ৭ ম্যাচে ১৩ ও মোহাম্মদ আমির ১০ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। রেজাউর রহমান ৮ ম্যাচে ১৩ এবং হাসান মাহমুদ ১০ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়াননের বিপক্ষে মাঠে নামবে ফরচুন বরিশাল। মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচ দুদলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জয় ও পয়েন্টের দিক থেকে চট্টগ্রামের জন্য হুমকি হবে ঢাকা। এই ম্যাচ হেরে গেলেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে চট্টগ্রাম। তারা ১০ ম্যাচে ২ জয় ও ৮ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে। আর ১১ ম্যাচ খেলে ৩ জয় ও ৮ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৫ নম্বরে আছে ঢাকা। ফলে চট্টগ্রামের বিপক্ষে মঙ্গলবার তারা জিতলেই এগিয়ে যাবে।

[caption id="attachment_404904" align="aligncenter" width="700"] বল হাতে নাসির হোসেন ১১ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন[/caption]

এছাড়া সাকিব আল হাসানের দল ফরচুন বরিশাল ইতোমধ্যে শেষ চার নিশ্চিত করেছে। তবে এখনো গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে তাদের। মঙ্গলবার মাঠে নামার আগে সুখবর পেয়েছে বরিশাল। কারণ তাদের অধিনায়ক সাকিব ওমরাহ করে দেশে ফিরেছেন। বিপিএলের মাঝপথেই গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ দেশ ছেড়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ৪, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি বরিশালের খেলা না থাকায় ওমরাহ হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি। হজ শেষ করে রবিবার দেশে ফিরেছেন তারকা অলরাউন্ডার। সাকিবের দেশে ফেরার পরই প্রাণ ফিরেছে বরিশালে। মঙ্গলবার কুমিল্লার বিপক্ষে তাদের কঠিন পরীক্ষা দিকে হবে। পয়েন্ট টেবিলে বরিশাল ও কুমিল্লা অবস্থান নিয়ে টানা টানি চলছে। বরিশাল ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ৩ হারে ১৪ পয়েন্ট তুলে দ্বিতীয় স্থান দখল করছে। আর কুমিল্লা ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ৩ হারে ১৪ পয়েন্ট তুলে তৃতীয়তে আছে। ফলে মঙ্গলবারের ম্যাচ দুদলের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এবারের বিপিএলে খেলছে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন পর্যন্ত খেলা ৩৬ ম্যাচে ছক্কা হয়েছে মোট ৪৪০টি, যা বিপিএলের সর্বশেষ আসরের চেয়ে বেশি। গত বছর ৬ দল নিয়ে আয়োজিত বিপিএলে মোট ম্যাচই ছিল অবশ্য ৩৪টি, মোট ছয়ের সংখ্যা ছিল ৪০৩টি। এবার ছয়ের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় অবদান ফরচুন বরিশালের। ৭ দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৭টি ছয় সাকিব আল হাসানের দলের। আর তিনটি হলেই প্রথম দল হিসেবে ছক্কার তিন অঙ্ক স্পর্শ করবে দলটি। ইফতিখারের ২৩ এর পর দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০টি ছয় মেরেছেন অধিনায়ক সাকিব। সার্বিক হিসেবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আছেন ৩ নম্বরে।

ইফতিখারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১টি ছয় জনসন চার্লসের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটসম্যান খুলনার বিপক্ষে ১০৭ রানের ইনিংসে ১১টি ছয় মারেন। ইফতিখার পাকিস্তানে চলে গেছেন, চার্লস এখনো আছেন। কুমিল্লা সেরা দুইয়ে থেকে প্লেঅফে উঠলে সর্বোচ্চ ছয়ের কীর্তিটি হয়তো চার্লসেরই হয়ে যাবে।

সর্বোচ্চ ছয়ের প্রথম পাঁচে ৪ ও ৫ নম্বরে দুই পাকিস্তানি শোয়েব মালিক ও আজম খান। রংপুরের হয়ে খেলা শোয়েব ১০ ইনিংসে ১৩টি আর খুলনার হয়ে খেলা আজম ৮ ইনিংসে ১২টি ছয় মেরেছেন।

বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সাকিবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় তৌহিদ হৃদয়ের। সিলেট স্ট্রাইকার্সে খেলা এই ওপেনারের ছয়ও ১২টি। এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে যাওয়া হৃদয় চার মেরেছেন বেশি। ৮ ইনিংসে ২৫০ বল খেলে ৪০টি, গড়ে প্রতি ছয় বলে একটি করে।

চারের বাউন্ডারিতে দ্বিতীয় স্থানে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেটের এই বাঁহাতির চার ৩৯টি, হৃদয়ের চেয়ে ২ রান কম নিয়ে তিনি এখন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।

তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬টি চার রনি তালুকদারের। রংপুরের এই ব্যাটসম্যান ৯ ইনিংসে ২৮৯ রান করার পথে ৩৬টি চারের পাশাপাশি সাতটি ছয় মেরেছেন। চট্টগ্রামের হয়ে খেলা আফিফের চার ৩৫টি, বরিশালের হয়ে ২০ ছয় মারা সাকিবের চার ৩৪টি। ঢাকার নাসির হোসেন আর খুলনার তামিম ইকবালের চারের সংখ্যা ৩৩টি করে। বিদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮টি চার চট্টগ্রামে খেলা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান উসমান খানের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App