×

পুরনো খবর

বসন্ত বাতাসে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম

বসন্ত বাতাসে

পোশাক ও ছবি: রঙ বাংলাদেশ

শহরে কি বসন্ত বাতাস বয়? ফুলে ফুলে প্রজাপতির ওড়াউড়ি কি চোখে পড়ে? শহুরে প্রকৃতির বেলায় হয়তো না। তবে নাগরিক বসনে ঠিকই টের পাবেন, দুয়ারে বসন্ত। আসছে ঋতুরাজ বসন্ত। গানের কথার মতো ‘ফাগুন লেগেছে বনে বনে’। গাছে গাছে, আড়ালে আড়ালে, কোণে কোণে ফুটতে শুরু করেছে কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ, হলুদ গাঁদা ফুল। বসন্তবরণে সবাই নানা নকশার পোশাক পরে বেরিয়ে পড়েন নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে। সবার কথা মাথায় রেখেই সাজ সাজ রবে সেজে উঠেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।

পাতাঝরা শুষ্ক শীতের শেষে আসে রঙে রঙিন বসন্ত। চারদিকে নতুন পাতা আর ফুলের সমাহার। মাঝেমধ্যেই শোনা যায় কোনো এক গাছের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা কোকিলের কুহু ডাক। বসন্ত আসেই যেন আমাদের হৃদয়ে অকারণ খুশির দোলা দিতে। যেদিকে চোখ যায় যেন রঙের ছটা।

পহেলা ফাল্গুনে বাঙালি মুখিয়ে থাকে দিনটি উদযাপনের জন্য। আমাদের দেশে উৎসবের পোশাক মানে শাড়ি আর পাঞ্জাবি। এমন দিনটি তো আসলে উৎসবে মেতে ওঠার। তাই ফ্যাশন হাউস “রঙ বাংলাদেশ” পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে আয়োজন করেছে বসন্ত উৎসবের; পোশাক ও অন্য সব সামগ্রীতে নিয়ে এসেছে ফাল্গুনের ছোঁয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সৌমিক দাস জানান, পাখির রং ও পলাশ ফুল প্রেরণা হয়েছে এবারের বসন্ত সংগ্রহে। পাখি প্রকৃতির অনিন্দ্য উপহার। রঙের বৈচিত্র্য আর বাহারে চোখ জুড়ায়। রংধনুর প্রতিটি রংই আছে পাখিদের শরীরে। কখনও একরঙা, কখনও একই রঙের নানা শেড আবার কখনও বহুবর্ণে নান্দনিক। পলাশ ফুলের সঙ্গে বসন্তের এক নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। এসব রঙে প্রাণিত হয়েছেন রঙ বাংলাদেশের ডিজাইনাররা। তাই কাপড় ক্যানভাস হয়ে উঠেছে বর্ণময়। মোটিফ হয়েছে দৃষ্টিনন্দন। পাখিদের রং অসংখ্য। এর মধ্য থেকে বেছে নিয়ে বিন্যাস ঘটানো হয়েছে চমৎকারভাবে। ফলে প্রতিটি পোশাক হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয় ও উৎসবমুখী।

মূল রং হিসেবে হলুদ, গোল্ডেন হলুদ, প্যারোট গ্রিন, পেস্ট, নীল, ম্যাজেন্টা, লাল, সাদা, পিচ, মিন্ট, কমলা, লেমন হলুদ ও অলিভ ব্যবহার করা হয়েছে।

বসন্তের পোশাক আয়োজন নিয়ে অঞ্জন’সের স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সব সময় নির্দিষ্ট মোটিফ নিয়ে বেশি কাজ করে থাকলেও এবার ফুলের নকশাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। বসন্তে শাড়ি পাঞ্জাবি পরতে পছন্দ করেন অনেকে। শাড়ি পাঞ্জাবিতে উৎসবের রং হিসেবে হলুদ, বাসন্তীর সঙ্গে কমলা, সবুজ, জলপাই রংগুলোকে বেছে নেওয়া হয়েছে।’

শাহীন আহমেদ বলেন, ছেলেরা অন্য সময় ফুলেল মোটিফ এড়িয়ে চললেও এ সময়ে বেশ পছন্দ করে। পাঞ্জাবিতেও জায়গা করে নিয়েছে ফুলেল নকশা। এ ছাড়া শাড়ি, পাঞ্জাবিতে ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট এবং এমব্রয়ডারির কাজও আছে। পোশাকগুলো সুতি কাপড়েই তৈরি করা হয়েছে। তবে কিছু লিনেন এবং সুতি সিল্কে তৈরি।

বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ফেসবুক থেকে তথ্য নিয়ে দেখা গেছে নকশায় প্রাধান্য পেয়েছে ফুল, লতাপাতার বাহার।

শাড়ির জমিনের কোথাও আছে এক থোকা ফুল বা কোথাও একগুচ্ছ পাতা। আবার কোথাও কবিতা বা গানের লাইন এঁকে সুতি, লিনেন, তাঁত ইত্যাদি কাপড়ের শাড়িতে আনা হয়েছে বাংলা প্রকৃতির আদল। ওড়না, কামিজ-সালোয়ারেও রয়েছে রং, নকশার খেলা। এবারে কিছু কিছু কামিজের ঝুলে নকশা কম থাকলেও সেখানে জায়গা করে নিয়েছে এমব্রয়ডারি বা হাতে করা সুতার কাজের নকশা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App