ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির মৃত্যুর অভিযোগে ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত মামলা গ্রহণ করার উপাদান না থাকায় তা খারিজের আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান। এর আগে এদিন জনির বাবা ইয়াকুব আলী মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ অপেক্ষমান রাখেন।
মামলায় বাকি যাদের আসামি করা হয়- ডিবি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (দক্ষিণ) জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবি পুলিশের রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস, দক্ষিণ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হক তালুকদার, পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এসএম শাহরিয়ার হাসান, উপপরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, জাহাঙ্গির হোসেন, কনস্টেবল সোলাইমান, আবু সায়েদ, লুৎফর রহমান ও আলাউদ্দিন।
মামলায় বলা হয়, ডিবি দক্ষিণ পুলিশের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ পালের নির্দেশে ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দিপক কুমার দাসসহ ৪-৫ জন ডিবি সদস্য খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিতে গ্রেপ্তারের জন্য বাদীর বাসায় আসেন। তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হিরাকে আটক করে। বলে জনিকে তুলে দিলে হিরাকে ছেড়ে দিবে। এরপর মিথ্যা মামলায় হিরাকে আদালতে চালান করে।
খবর পেয়ে জনি হিরাকে ১৯ জানুয়ারি কারাগারে দেখতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে এসআই দিপক কুমার দাস তাকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বাদী ও তার পরিবার আসামিদের জিজ্ঞাসা করলে তারা অস্বীকার করে। ২ দিন অনেক খোঁজা খুজির পর তার সন্ধান পায়নি। এরপর ২১ জানুয়ারি খিলগাঁও থানাধীন জোড়াপুকুর খেলার মাঠে বাদী ও তার পরিবার গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়। সেখানে পুলিশ জানায় জনি বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে। বাদী ও তার পরিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে গিয়ে জনির বুকের ডানে ও বামে, হাতেল তালুতে ও কব্জিতে ১৬টি গুলির চিহ্ন দেখতে পায়।
মামলায় বাদীর অভিযোগ ভিকটিম জনিকে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি আসামিরা আটকের পর ২১ জানুয়ারি মধ্যে তাদের হেফাজতেই নির্যাতন এবং পরবর্তীতে গুলি করে হত্যা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।