মালয়েশিয়ায় নতুন সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

রাজনৈতিক সমঝোতা ব্যতীত উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন অসম্ভব

পরের সংবাদ

শরিফুল হাসান, হেড অব মাইগ্রেশন, ব্র্যাক

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার হতে পারে সিন্ডিকেটমুক্ত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ , ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ , ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিন বিন ইসমাইলের বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের হেড অব মাইগ্রেশন শরিফুল হাসান। এই বৈঠকের মধ্য নিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি।

রবিবার সন্ধ্যায় ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। শরিফুল বলেন, প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হলেও দেশটিতে খুব কম সংখ্যক কর্মী যাচ্ছিলেন। নির্দিষ্ট কিছু এজেন্সি সিন্ডিকেট করে কর্মী পাঠানোর কাজটি নিয়ন্ত্রণ করছিল। এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল না, ব্যাপক অনিয়ম ছিল। ফলে দেশটিতে বিপুল সংখ্যক কর্মী যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছিল না। নির্দিষ্ট কিছু এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর অনুমোদন দেয়ার কারণেই এটি ঘটছে। এর মধ্যে গত নভেম্বরে আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। তারা বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত। দুই মন্ত্রীর বৈঠকে তেমনটাই আভাস মিলেছে।

তিনি আরো বলেন, গতকাল দুই দেশের মন্ত্রীরা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন, কর্মীদের সামগ্রিক সুরক্ষা এবং দায়িত্ব, তাদের কর্তব্য ও অধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন। বৈঠকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনার কথা বলেছেন। কম খরচে, সহজে এবং দ্রুত কীভাবে বাংলাদেশের কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন সে বিষয়ে নতুন সরকার কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এজন্য বিদ্যমান সমঝোতা স্মারকে সংশোধনী আনার কথাও বলেছেন। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা অনুষ্ঠানের বিষয়েও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। মালয়েশিয়ার মন্ত্রী সে দেশে অবস্থানরত অনিয়মিত বিদেশি কর্মীদের বৈধ করার কথাও বলেছেন। বাংলাদেশের মন্ত্রী ইমরান আহমদও বলেছেন, মালয়েশিয়ার এ সরকার কিন্তু নতুন সরকার। আগের সরকারের সঙ্গে যেসব কথা হয়েছে, সেখানে বিরাট একটা পরিবর্তন আসবে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক পুনর্মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

এ বিষয়গুলো বাংলাদেশের শ্রমবাজারের জন্য দারুণ ইতিবাচক উল্লেখ করে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শরিফুল বলেন, মালয়েশিয়ার নতুন সরকারের মনোভাবে বোঝা যাচ্ছে তারা এতদিন শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে যে সিন্ডিকেট ছিল সেটি চাইছে না। এর বদলে সব এজেন্সি অবাধে শ্রমিক পাঠাতে পারবে। এতে করে একদিকে যেমন বেশি শ্রমিক যেতে পারবে তেমনি খরচও আগের চেয়ে কম হবে। কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়াও সহজ হবে।

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়