প্রবল ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৩শ’ ছাড়াল

আগের সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই রনি এখন চা বিক্রেতা!

পরের সংবাদ

গোলাম আজম নাম না পাল্টানোয় বাবাকে খুন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ , ৯:১১ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ , ৯:১১ অপরাহ্ণ

ঠাকুরগাঁওয়ে গোলাম আজম নাম না পাল্টানোয় বাবাকে খুন করার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে তারই ভারসাম্যহীন ছেলে।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পৌর শহরের শান্তিনগর একুশে মোড় মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম ফজলে আলম। তিনি চার ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা। অভিযুক্ত গোলাম আজম তার দ্বিতীয় ছেলে। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। শিক্ষা শেষে তিনি দিনাজপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফজলে আলমের বুকে ধারালো চাকু ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে রড দিয়ে মাথায় আঘাত ও মুখে বালিশ চাপা দেন ছেলে গোলাম আজম। খুন করার পর গভীর রাতেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন গোলাম আজম। থানায় এসে বলেন, আমাকে গ্রেপ্তার করুন, বাবাকে খুন করেছি।

স্থানীয়রা জানান, ঘাতক ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনে তদন্ত চলমান রয়েছে। মামলার প্রস্তুতিও চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, হত্যা নিশ্চিত করে ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন গোলাম আজম। পরে তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পরিবারের প্রতি ক্ষোভে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্রতিবেশী ও নিকটাত্মীয়রা জানান, গোলাম আজম দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন। বাবা ফজলে আলম তার সুস্থতায় চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

বাবাকে হত্যার কারণ জানতে চাইলে গণমাধ্যমে গোলাম আজম বলেন, আমার নামের সমস্যা। গোলাম আজম আমার নাম হওয়ায় সরকারি চাকরি হয়নি। সবখানে নাম পরিবর্তন করতে বললে বিষয়টি আমার বাবাকে বারবার জানালেও তিনি নাম পরিবর্তন করতে দেননি।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে ছাত্র থাকা অবস্থায় নামের কারণে একাধিকবার জেলে যেতে হয়েছে। আমি সুস্থ, আমাকে মানসিক রোগী বানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, আমাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়। আমি যে মানসিক রোগী নই তা কাউকে বোঝাতে পারিনি। আমার বাবা এ বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় তিন মাসের শিশুসন্তান নিয়ে আমার স্ত্রী আমাকে ফেলে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।

এনজে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়