×

সারাদেশ

দাউদকান্দিতে ১৩ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত একাডেমিক সুপারভাইজার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:০১ পিএম

দাউদকান্দিতে ১৩ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত একাডেমিক সুপারভাইজার

ছবি: ভোরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার নাজমুন নাহার ১৩ মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত। করোনা পরবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও ওই কর্মকর্তার অনুপস্থিতির কারণে দাউদকান্দিতে তা স্থবির হয়ে পড়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একাডেমিক সুপারভাইজাররের দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, শ্রেণি কক্ষ পরিচালনা, প্রাত্যহিক সমাবেশ ও শুদ্ধভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠটীকা প্রস্তুত এবং সে অনুযায়ি ক্লাশ নেয়া ও শিক্ষকদের নিয়মিত ডায়েরি অনুসরণ করাসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

একাডেমিক সুপারভাইজার নাজমুন নাহার ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দাউদকান্দিতে যোগদান করেন। ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর করোনার টিকা কার্যক্রম দেখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। ওই দিন দুপুরে মোবাইলের ক্ষুদে বার্তায় অসুস্থ্য বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম জাহাঙ্গীর আলমকে। এরপর মোবাইলে ফোন করে এবং ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করেও কোন জবাব পাওয়া যায়নি। লিখিত বা মৌখিক কোন ছুটি না নিয়েই এরপর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন একাডেমিক সুপারভাইজার নাজমুন নাহার । একাডেমিক সুপারভাইজারে অনুপস্থিতির বিষয়টি দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন অফিসে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

সূত্র মতে, তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিখিত চিঠির মাধ্যমে একাডেমিক সুপারভাইজারের অনুপস্থিতির বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অবহিত করেছেন তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একএম জাহাঙ্গীর আলম।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার নাজমুন নাহারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক বলেন, আমি যোগদান করেছি প্রায় তিন মাস। এর আগে থেকেই কোন ধরণের অফিসিয়াল অনুমতি না নিয়েই একাডেমিক সুপারভাইজার নাজমুন নাহার ১৩ মাস যাবৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মুঠোফোন এবং ই-মেইলে যোগাযোগ করেও তার কোন রেসপন্স পাইনি। তাই বিষয়টি লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবগত করেছি।

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান বলেন, একাডেমিক সুপার ভাইজারের অনুপস্থিতির কারণে দাউদকান্দি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App