×

মুক্তচিন্তা

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস : স্মার্ট গ্রন্থাগার স্মার্ট বাংলাদেশ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:০৪ এএম

বছর ঘুরে এসেছে ৫ ফেব্রুয়ারি। গ্রন্থ ও গ্রন্থাগারপ্রেমীদের (গ্রন্থসুহৃদ) প্রিয় ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’। এ বছর জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ’। পাঠক তৈরির প্রধান ক্ষেত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই একাডেমিক বা শিক্ষায়তনে গ্রন্থাগার চালু রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রন্থাগারিকের উপযোগিতা উপলব্ধি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে দশম) ও উচ্চ মাধ্যমিক (ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ) স্তরে সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যাটালগারের পদ সৃষ্টি করা হয়। পদটি এমপিওভুক্ত। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সমমানের ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় এই পদ সৃষ্টি করা হয়নি। ফলে কাক্সিক্ষত ফল অর্জিত হচ্ছে না। অর্থাৎ ‘পাঠক’ তৈরি হচ্ছে না। আমরা এই স্তরে গ্রন্থাগারিকের পদ সৃষ্টির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। গ্রন্থাগারিকরা নিজেদের পদটিকে ‘যুৎসই’ মনে করেন না। তারা হীনম্মন্যতায় ভোগেন। দাবি তোলেন পদবি পরিবর্তনের। আন্দোলনেও নামেন। সরকার দাবি মেনে নেয়। ২০২১ সালের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় নতুন পদবি দেয়া হয় ‘সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান)’। এতে গ্রন্থাগারিকরা লাইব্রেরির কাজ না করে বছরব্যাপী অন্যান্য বিষয়ের ক্লাস নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কমিটি বা প্রতিষ্ঠান প্রধান তাদের ‘শ্রম ও মেধা’ ভিন্ন কাজে ব্যবহার অপচয় হয়। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর এক হাজার গ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ গ্রন্থসুহৃদ সমিতি ও বেরাইদ গণপাঠাগার ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার বর্তমান ডিএনসিসি ওয়ার্ড : ৪২ (বেরাইদ)-কে ‘পাইলট প্রকল্প’ ধরে কাজ করছে। সরকারি প্রজ্ঞাপনের আগে থেকেই এখানকার স্কুল-মাদ্রাসা-কলেজে ‘তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’ সাবজেক্ট রুটিনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানে তিনটি মডেল গ্রন্থাগার গড়ে তোলার কাজ চলমান : ১. স্কুল গ্রন্থাগার বেরাইদ মডেল ২. মাদ্রাসা গ্রন্থাগার বেরাইদ মডেল ও ৩. কলেজ গ্রন্থাগার বেরাইদ মডেল। ‘জাতীয় গ্রন্থাগার নীতি’ ২০০১ সালের ২৮ মে অনুমোদিত হয়। রূপকল্প ২০৪১-এর পথ ধরে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র জীবন সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে তাই এখন মূর্ত হয়ে উঠেছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে। দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গ্রন্থাগারের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সভ্যতার বিকাশে, সর্বস্তরের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষায় এবং জনগণের জীবনব্যাপী স্বশিক্ষায় সহায়তা প্রদানে, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, কূপমণ্ডূকতা ও কুসংস্কারের বিপরীতে বৈজ্ঞানিক চেতনা মুক্তচিন্তার বিকাশে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য নিবন্ধিত বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র। এর মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত লোগো ও সেøাগান সংবলিত ব্যানার স্থাপন (আবশ্যিক), বই পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে র‌্যালি (শোভাযাত্রা), বই পড়া কর্মসূচি এবং পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন। এমদাদ হোসেন ভূঁইয়া : সভাপতি, বাংলাদেশ গ্রন্থসুহৃদ সমিতি ও বেরাইদ গণপাঠাগার। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App