×

সারাদেশ

কালভার্টে নিম্নমানের কাজ, ভেঙে দিল পৌর কর্তৃপক্ষ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম

কালভার্টে নিম্নমানের কাজ, ভেঙে দিল পৌর কর্তৃপক্ষ

ছবি: ভোরের কাগজ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার একটি কালভার্টে নিম্নমানের কাজ করায় ভেঙে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামে মিতল্লা খালের উপর নির্মাণাধীন কালভার্টটি নিম্নমানের কাজের কারণে পৌর মেয়রের নিদের্শে ভেঙে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ঠিকাদার পলাতক রয়েছেন।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহীন জানান, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মিতল্লা খালের উপর পৌরসভার “৭ প্রকল্পের” আওতায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য গত ২০২১ সালের ২৫ মার্চ দরপত্র আহ্বান করা হয়। একই বছরের ২১ জুলাই আরিফা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। তারপর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে।

তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার ও শনিবার অফিস বন্ধের দিনে আমাদেরকে অবহিত না করে কালভার্টের তলায় ও দুই পাশে ঢালাই করে ফেলে। রবিবার বিষয়টি মেয়রকে অবহিত করলে তিনি আমাদেরকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী কালভার্টটির কাজ করা হয়নি। কেনো অফিসকে না জানিয়ে বন্ধের দিন কালভার্টের কাজ করা হলো বিষয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে সটকে পড়েন। এসময় মেয়রের নির্দেশে ও প্যানেল মেয়রের উপস্থিতিতে কালভার্টটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরিফা এন্টারপ্রাইজের মালিক আখলাকুর রহমান জানান, আমার লাইসেন্সের নামের কাজটি চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মিজানুর রহমানের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান ভালো বলতে পারবেন।

কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, চারটি কালর্ভাটের মধ্যে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরিফা এন্টারপ্রাইজকে দিয়ে দিয়েছি। আর এই কালভার্টটি রশিদ মেম্বারকে কন্ট্রাক দিয়েছি। আমি রশিদ মেম্বারকে বলেছি এর আগে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে আমার একটি কাজ খারাপ হয়েছে, এনিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে। তাই আপনি এই কাজটি সুন্দর করে করবেন। কালভার্টটির বেইজ ঠিকমতো করা হয়েছে, কিন্তু ওয়ালটি হাতে ঢালাই দেয়ার কারণে পাথর মিক্স হয়নি। ভাই লেখালেখি করলে আমার মানসম্মান নষ্ট হবে।

পৌর মেয়র জি এম মীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি নির্বাহী প্রকৌশলী আমাকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক কালভার্টটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App