বিএনপি ও জামায়াত জোটকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, বিএনপি জনগণের দল নয়। তারা জনগণের জন্য কিছু করতে পারেনা দেশের জন্য কিছু করতে পারেনা। তারা শুধু পারে ষড়যন্ত্র করতে। দেশকে পিছিয়ে দিতে। এটাই তাদের অভ্যাস। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। দেশের জন্য, জনগণের কল্যানে যদি কেউ এদেশে কিছু করে সেটা আওয়ামী লীগ করে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর টাউন হল মাঠে আয়োজিত এক শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করে। রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমিসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

মির্জা আজম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের রূপান্তর হয়েছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়েছি। আওয়ামী লীগের টার্গেট আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। আগামী নির্বাচনে ও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য দলের নেতাকর্মীদের এখন থেকেই জনগণের কাছে গিয়ে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।

[caption id="attachment_404299" align="aligncenter" width="720"] শনিবার রংপুর টাউন হলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ[/caption]

মির্জা আজম বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। এরপর জেল থেকে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়েছিল। কারাগারে প্রতিদিন অসংখ্য সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল। সেই জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি আজকে আমাদের গণতন্ত্র শেখাতে চায়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে দেশকে বদলে দিয়েছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলটির রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, যারা আমাদেরকে আন্দোলনের ভয় দেখায় তাদের বলব, আওয়ামী লীগ আন্দোলনে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ জানে আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী।

তিনি আরো বলেন, যারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল, তারাই এখন ব্যর্থ হয়ে গেছে। তাদের আন্দোলনে কোনো সাড়া দেয়নি জনগণ।

সুজিত নন্দী বলেন, বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে মহাসমাবেশ ডেকেছিল আর আওয়ামী লীগ ডেকেছিল সমাবেশ। কিন্তু দেখা গেল আওয়ামী লীগের সমাবেশ মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে। একটা কথা মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে দেশের উন্নয়ন স্থিমিত হয়ে যাবে। বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে। জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। সন্ত্রাসবাদের জন্ম হবে। বাংলাদেশের অবস্থা আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সোমালিয়ার মত হবে। তাই দেশকে রক্ষা করতে হলে আগামী নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।