×

আন্তর্জাতিক

৫৭৮ নাতি-নাতনির পর থামতে চান উগান্ডার মুসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৩৬ পিএম

৫৭৮ নাতি-নাতনির পর থামতে চান উগান্ডার মুসা

মুসা হাসাহিরো কাসেরার ৫৭৮ নাতি-নাতনির পরিবার। ছবি: এএফপি

১২ স্ত্রী, ১০২ সন্তান ও ৫৭৮ নাতি-নাতনিতে এসে যথেষ্ট বলে মনে করছেন মুসা হাসাহিয়া কাসেরা। উগান্ডার পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত বুতালেজা জেলার বুগিসা গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে যে, পরিবারের সদস্যদের নাম ঠিকমতো মনে রাখতেও পারেন না কাসেরা। একান্নবর্তী এই পরিবারের অর্থনৈতিক চাহিদা সামাল দিতে গিয়ে ক্রমাগত হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। খোরপোষ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এরই মধ্যে তার দুই স্ত্রী ছেড়ে গেছেন। খবর এএফপির।

নিজ বসতভিটায় বসে বার্তা সংস্থা এএফপিকে ৬৮ বছর বয়সী কাসেরা জানিয়েছেন, ‘প্রথমে এটা ছিল হাস্যরসের বিষয়। কিন্তু এখন সেসব ঘিরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিন দিন কমছে শরীরের জোর। বিশাল এই পরিবারের জন্য মাত্র দুই একর জমি। খাদ্য, বস্ত্র ও শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারিনি বলে দুই স্ত্রী ছেড়ে গেছে’।

বর্তমানে কাসেরা বেকার। অবশ্য গ্রামটি এখন এক ধরনের পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্য যাতে আর না বাড়ে, সে জন্য তার স্ত্রীরা এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মেনে চলছেন। কাসেরা বলেন, ‘আমার স্ত্রীরা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, অবশ্য আমি করিনি। আমি আর সন্তান নিতে চাই না। কারণ, এত বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ থেকে আমার শিক্ষা হয়েছে। সন্তানদের আমি লালন-পালন করতে পারছি না।

পারিবারিক আয়োজনে কাসেরা প্রথম বিয়ে করেন ১৯৭২ সালে। এ সময় তিনি ও তার স্ত্রী দুজনেরই বয়স ছিল ১৭ বছর। এক বছর পর তাদের প্রথম সন্তান হয়। কাসেরা বলেন, ‘যেহেতু আমরা শুধু দুই সহোদর ছিলাম, তাই আমার ভাই, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, বংশের সম্প্রসারণে অনেক বেশি সন্তান জন্ম দিতে যেন বেশ কয়েকটি বিয়ে করি’।

গবাদিপশু বিক্রেতা ও কসাই হিসেবে সচ্ছ্বল জীবন ছিল কাসেরার। আর অবস্থাসম্পন্ন দেখে গ্রামবাসী তার সঙ্গে তাদের মেয়েদের বিয়ে দিতে চাইতেন। এমনকি তাদের কারো কারো বয়স ছিল ১৮ বছরের কম। উগান্ডায় বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ হয় ১৯৯৫ সালে। তবে ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে বহুবিবাহের প্রচলন রয়েছে।

কাসেরার সন্তানদের বয়স ১০ থেকে ৫০ বছর। আর তার সবচেয়ে ছোট স্ত্রীর বয়স ৩৫ বছর। তিনি বলেন, প্রথম আর শেষ সন্তান ছাড়া বাকিদের নাম মনে রাখতে পারেন না। তাদের জন্মের বিস্তারিত জানতে একটি পুরনো নোট বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে কথাগুলো বলছিলেন কাসেরা।

তিনি আরো বলেন, সন্তানদের চিনতে তাদের মায়েরা সাহায্য করেন। এমনকি কয়েকজন স্ত্রীর নামও মনে করতে পারেন না। এ জন্য নিজের এক সন্তানের সাহায্যও নেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App