×

জাতীয়

ধীরে ধীরে মেলাকে বড় হতে দেখেছি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৮ এএম

ধীরে ধীরে মেলাকে বড় হতে দেখেছি

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ফাইল ছবি

বাংলা একাডেমিতে চাকরির সুবাদে শুরু থেকেই আমি বইমেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এখনো আছি। সেই সময়ে বইমেলা ছিল ছোট পরিসরে। ধীরে ধীরে এই মেলাকে বড় হতে দেখেছি। আশির দশকে মেলার বড় পরিবর্তন হয়। আর ১৯৮৪ সালে বইমেলার আনুষ্ঠানিক নাম রাখা হয় ‘অমর একুশে বইমেলা।’

বইমেলা প্রসঙ্গে ভোরের কাগজের এক প্রশ্নের জবাবে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বইমেলার চরিত্র শুধু বই প্রকাশ এবং বিক্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বইমেলা ভাষা আন্দোলনের শহীদের রক্তে প্রতিষ্ঠিত বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত এবং একুশে ফেব্রুয়ারির উপলক্ষ হলেও মাসজুড়ে বইমেলার আবেদন জাতীয় মননের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বইয়ের প্রতি তরুণদের মনোযোগ বাড়াতে কেমন উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিনা হোসেন বলেন, তরুণ এবং শিশুদের বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট করতে এ মেলার বড় ভূমিকা রয়েছে। এজন্য মেলায় চালু করা হয়েছে শিশুপ্রহর, অর্থাৎ শিশুদের বইয়ের জন্য আলাদা চত্বর। তবে বই বিক্রি হচ্ছে কিনা এটাও বড় বিষয়। তরুণদের বেশি বেশি বই পড়ায় উৎসাহিত করতে হবে। স্কুল-কলেজ সিলেক্টিভ বই পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে তরুণদের বই পড়ায় উৎসাহিত করতে হবে প্রথমে পরিবার থেকেই।

তিনি বলেন, বই মানবজাতির অক্ষয় সাধনা। আর অমর একুশে বইমেলা তো আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলাকে সামনে রেখেই অধিকাংশ লেখক তাদের লেখা তৈরি করেন। তাছাড়া প্রবীণের সঙ্গে নতুন অনেক লেখকেরও আবির্ভাব হয়। এই মেলা পাঠক সৃষ্টি করে, পাঠক ধরে রাখে। ডিজিটাল এই যুগেও বইমেলার আকর্ষণে পাঠকরা ছুটে আসেন, নতুন বই ছুঁয়ে দেখেন, কেনেন। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হন তারা। এই মেলা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষে অনেক বড় ভূমিকা রেখে আসছে। একজন লেখক হিসেবে বইমেলা আমার কাছে আপন অস্তিত্বের মতোই একটি বিষয়। এবারের বইমেলায় সেলিনা হোসেনের ‘শরণার্থীর সুবর্ণরেখা’ আর ‘হাওরের জলস্রোত’ নামে দুটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App