×

জাতীয়

আমি বাবার কাছে থাকতে চাই: জাপানি ছোট মেয়ে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:২৫ পিএম

আমি বাবার কাছে থাকতে চাই: জাপানি ছোট মেয়ে

ছবি: ভোরের কাগজ

আমি বাবার কাছে থাকতে চাই: জাপানি ছোট মেয়ে

জাপানি বংশোদ্ভুত সেই দুই শিশুর মধ্যে ছোট মেয়ে লায়লা লিনা আদালতে বলেছেন, আমি আমার বাবার কাছে থাকতে চাই। আমার বাবাকে আমি অনেক ভালোবাসে। মায়ের কাছে যেতে চাই না।

আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে বাবার সঙ্গে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান লায়লা লিনা।

এসময় বাবা ইমরান শরীফ বলেন, লায়লা লিনা আমার কাছে থাকতে চাই। মায়ের কাছে যাবে না। কিন্তু ওর মা ওর ওপর প্রেশার ক্রিয়েট করছে ওকে নিয়ে যেতে। কিন্তু ও যেতে রাজি না। আমি বিষয়টা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এদিকে বড় মেয়ে নাকানো জেসমিন মালিকা (১১) কে নিয়ে আদালতে এসেছেন মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকো। এদিন আদালতে লায়লা লিনাকে মায়ের হেফাজতে নেয়ার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

এরআগে গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে জাপানী বংশোদ্ভুত ওই দুই শিশু মায়ের জিম্মায় থাকবে মর্মে রায় দিয়েছেন।

মা জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। ১২ বছরের সংসারে তারা তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তারা হলো জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান।

এরপর ওই দুই মেয়েকে জিম্মায় পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গতবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসেন এই জাপানি নারী। তিনি হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন বিচারক। কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাই কোর্ট দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সাথে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়। হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো।

পরে আপিল বিভাগ এক আদেশে শিশু দুটিকে মায়ের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দিলেও বাবা তা না মানায় বিচারকরা উষ্মা প্রকাশ করেন। পরে আদালত শিশু দুটিকে বাবার হেফাজত থেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে মায়ের হেফাজতে দেওয়ার আদেশ দেয়।

এরপর গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে এবং তার আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেয় আপিল বিভাগ। এরপর আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে। এদিকে সন্তানসহ পালানোর চেষ্টার অভিযোগে জাপানি মা এরিকো নাকানোর বিরুদ্ধে সন্তানদের বাবা ইমরান শরিফ গত ২৯ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে একটি মামলাও করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App