রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বাসের ভেতর নারীসহ তিনজন অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন। তারা হলেন নাজমা আক্তার (৩৬), আরিফুল ইসলাম (২৫) ও রেজাউল করিম (৩২)।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে বঙ্গবাজার ও পল্টন এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। নাজমাকে হাসপাতালে নেয়া মো. নিয়াজ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সুফিয়া কামাল হল ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে স্টোমাক ওয়াশ করানোর পর কিছুটা সুস্থ্য হলে নাজমা নিজেই বলেন, তার বাসা নারায়ণগঞ্জে। গত এক বছর দুবাইতে থাকার পর আজ বুধবার সকালে ঢাকায় এসেছেন। বিমানবন্দরে নামার পর সেখানে এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই লোক তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণামূলক কথা বলে সখ্যতা গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে একটি বাসে করে শাহবাগ এলাকায় আসেন। শাহবাগ থেকে রিকশাযোগে গুলিস্তান যাওয়ার পথে ওই লোক তাকে জুস খেতে দেয়। এরপর আর কিছু মনে নেই তার। তার কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্টসহ ব্যাগ নিয়ে গেছে।

এদিকে, আরিফুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর কোনাবাড়িতে থাকেন তিনি। সেখান থেকে একটি বাসে করে ঢাকায় এসেছিলেন। বাসের ভেতরে পাশের সিটে বসা এক ব্যক্তি তাকে জুস খেতে দিয়েছিলো। এরপর আর কিছু মনে নেই তার। তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা খোয়া (হারিয়ে) গেছে।

বাসের স্টাফরা তাকে বঙ্গমার্কেটের পাশে রাস্তায় নামিয়ে রেখে যায়। দেখতে পেয়ে সারোয়ার হোসেন নামে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অপরদিকে, রেজাউল করিম উত্তরা পাওয়ারকন ইনঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অটোমেশন লিমিটেডের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার। বেলা সোয়া তিনটার দিকে পল্টন মোড় থেকে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

সহকর্মী মো. নুরুজ্জামান বলেন, তাদের অফিস উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে। সকালে সদরঘাট গিয়ে জেনেরেটরের যন্ত্রাংশ কেনার কথা ছিলো তার। দুপুরে মুঠোফোনের মাধ্যমে খবর পান, ভিক্টর পরিবহনের বাসের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন নুরুজ্জামান। পরে পল্টন মোড়ে থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে জানা গেছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, তাদের তিনজনকেই স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়েছে। মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।