×

জাতীয়

‘আমরা চিৎকার করলেও আ.লীগের ভয়, নীরব থাকলেও’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম

‘আমরা চিৎকার করলেও আ.লীগের ভয়, নীরব থাকলেও’

বুধবার বিএনপির নীরব পদযাত্রা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন দলটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস। ছবি: ভোরের কাগজ

‘আমরা চিৎকার করলেও আ.লীগের ভয়, নীরব থাকলেও’

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই পদযাত্রায় আপনার ভীত নড়বড়ে হয়ে যাবে, নড়বড়ে হয়ে গেছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ আমাদের পায়ের আওয়াজ পেয়ে গেছে। ওই যে কারা আসছে? এরা কারা? এরা গণতন্ত্র, ভোটে অধিকার চায়। আমি নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস দেখছি, আমি বিশ্বাস করি, এই সরকারের পতন অবশ্যই আমরা ঘটাবো।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কমলাপুরে সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে ‘নীরব পদযাত্রা’ কর্মসূচির শেষ দিনের কর্মসূচির শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু বক্তব্য রাখেন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মহানগর দক্ষিনে উদ্যোগে কমলাপুর সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গন থেকে থেকে খিলগাঁও মোড় হয়ে মালিবাগ বাজার পর্যন্ত ৩ কিলো মিটার পথে দেড় ঘন্টার ‘নিরব পদযাত্রা’ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

রাজধানীর গাবতলী-মিরপুরের ব্যস্ততম সড়কে পদযাত্রা উপলক্ষে ব্যাপক মানুষের সমাগমে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বিএনপির পদযাত্রা উপলক্ষে কমলাপুর স্টেডিয়াম-খিলগাঁও সড়কে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পদযাত্রায় বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নিরব, রিয়াজ উদ্দিন নসু সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। এছাড়া, পদযাত্রায় খিলগাঁও-মুগদা-শাহজাহানপুর-বাসাবো এলাকার নেতা-কর্মী ছাড়াও মহিলা দল, যুবদল, স্বেচ্ছসেবক দল, ছাত্র দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়।

উপনির্বাচনে ‘ভোটার’ ছাড়া ভোট হওয়ার চিত্র তুলে ধরলেন মির্জা আব্বাস বলেন, ব্রাহ্মবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় আজ উপনির্বাচন হচ্ছে। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রে ভোটার নাই। মিডিয়াতে (গণমাধ্যমে) প্রচার হচ্ছে- ব্রাক্ষনবাড়ীয়ার একটি কেন্দ্রে তিন/ চারটি কুকুর ঘুমিয়ে আছে। আল্লাহ বাঁচাইছে যে, কুত্তার ভোট দেয়ার অধিকার নাই। যদি থাকতো তাহলে কি সর্বনাশটা হয়ে যেতো এখন।

তিনি বলেন, একটা খবর শুনলাম, একটা কেন্দ্রে কেনো ভোটার যাচ্ছে না। পুলিশ নাকী মাইকিং করতেছে, ভোটার ডাকছে। আমি আমার জীবনে শুনি নাই ভাই এরকম কথা অর্থাৎ পুলিশ মাইকে ডাকছে, ভোট দিতে আসেন। এই সময়ে নেতা-কর্মীরা ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা যদি চিৎকার করি, আওয়ামী লীগ ভয় পায়, আমরা যদি নিবর থাকি, আওয়ামী লীগ ভয় পায়। আমরা নিরব পদযাত্রা করার কথা বলেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপির পদযাত্রায় রাস্তায় প্রকম্পিত হচ্ছে তাতে তারা ভয় পেয়ে গেছে। একেকজন চাটুকার একেক রকম কথা বলছে। কেউ বলছে বিএনপির মরণ যাত্রা, কেউ বলছে এটা, কেউ বলছে সেটা।

আব্বাস বলেন, ভাই আমাদের পদযাত্রায় তোমাদের কি আসে যায়? যদি হ্যাঁ এটা তাদের শবযাত্রা হয়ে থাকে তাহলে কিছু আসে যায়। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব বলছে, এটা সরকারের বিদায়ের অগ্রিম শোভাযাত্রা, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একটা নাম দিয়েছেন। আমি আজকে বলছি, এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের শবযাত্রার পূর্ব অবস্থা আমরা বলে দিচ্ছি, আপনাদের পতন শুরু হয়ে গেছে। এখন শুধু দেশের মানুষের সময়ের অপেক্ষা।

বিদ্যুতের বার বার দাম বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিদুৎ প্রতি মন্ত্রী বলছেন, মাসে মাসে বিদ্যুৎতের দাম সমন্বয় করা হবে। ভাবটা এরকম যে, এটা কারো একটা রাজত্ব, রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। আমরা বলতে চাই, এই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হুকুম মতো চলবে, কারো রাজতন্ত্রে নয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App