অভিনব কৌশলে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া হতে গাঁজার বড় চালান আনা হতো রাজধানীতে। এসব গাঁজা বিক্রির জন্য রাজধানীজুড়ে গড়ে তোলা হয় কারবারিদের সিন্ডিকেট। পরে তাদের কাছে বাহকের মাধ্যমে পৌছে দেয়া হতো গাঁজার চালান। এভাবে দীর্ঘদিন ব্যবসা করার পর, চক্রের মূলহোতাসহ ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) একটি টিম।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা ইলিয়াছ মিয়া, সরবরাহকারী সুজন আবেদীন ও তাদের সহকারী শুক্কুর। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সরবরাহ করে আসছে বলে তথ্য পাই। সবশেষ তথ্য আসে, চক্রটি সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে আগত গাঁজার বড় একটি চালান ঢাকায় ডেলিভারী করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী অধিদপ্তরের রমনা সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত টিম তাদেরকে মনিটরিং করতে থাকে। এক পর্যায়ে উত্তরা এলাকা থেকে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রয় করে আসছিলো। এজন্য তারা নির্ধারিত কয়েকজন লোকের মাধ্যমে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। আর গাঁজা রাজধানীতে আনতে ক্যারিয়ার হিসেবে বিভিন্ন জনকে ব্যবহার করে আসছিল। এই চক্রের অন্যান্য হোতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসি কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।