বজ্রপাত থেকে কৃষকদের সুরক্ষায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

আগের সংবাদ

জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ মৃত্যু

পরের সংবাদ

উচ্চমাত্রার হর্ন: শব্দদূষণের জন্য দায়ী ৭৮ শতাংশ গাড়ি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ৭:৪৮ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ , ৭:৪৮ অপরাহ্ণ

সড়কে হর্ণ অত্যাচারে অতিষ্ট রাজধানীবাসী। বেশিরভাগ মানুষ বধির হওয়ার ঝুঁকিতে। অন্যদিকে বায়ু দূষণ শীর্ষ তালিকায় রয়েছে ঢাকা। এ অবস্থায় রাজধানী ও এর আশপাশে এলাকায় ভ্রাম্যামান অভিযানে পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। তাদের অভিযানে দেখা যায়, সব গাড়ির হর্ণ সরকারের অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি ও দূষণ ছড়াচ্ছে ৭৮ শতাংশ গাড়ি।

রাজধানীতে শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা নীরব এলাকায় রাতে সর্বোচ্চ ৪০ ডেসিবল এবং দিনে ৫০ ডেসিবল । আবাসিক এলাকায় রাতে ৪৫ ও দিনে সর্বোচ্চ ৫৫ ডেসিবল শব্দ করা যাবে। মিশ্র এলাকায় যথাক্রমে ৫০ ও ৬০ ডেসিবল, বাণিজ্যিক এলাকায় ৬০ ও ৭০ ডেসিবল এবং শিল্প এলাকায় তা রাতে ৭০ এবং দিনে সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবল শব্দ করা যাবে। কিন্তু আজ বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে পরিবেশ অধিদপ্তর পাঁচটি গাড়ির হর্ণ পরীক্ষা করে। দেখা যায়, প্রতিটি গাড়ি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দে হর্ন বাজাচ্ছে। হর্নের শব্দের মাত্রা পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ১১০, ১০১, ৯৯, ৯৮ ও ৯৭ ডেসিবল। উচ্চ শব্দের হর্ন বাজানোর কারণে গাড়িগুলোকে জরিমানাও করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

অন্যদিকে, যানবাহনের নির্গত ধোঁয়ার ঘনত্বের সহনীয় মাত্রা ৬৫ এইচএসইউ। অভিযানে দেখা গেছে বেশিরভাগ গাড়িই নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি দূষিত ধোঁয়া ছাড়ছে। মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সকালে অভিযানে বাস, ট্রাক ও পিকআপ মিলিয়ে নয়টি গাড়ি পরীক্ষা করে। এর মধ্যে একটি গাড়িতে পাওয়া যায় ৯৫, একটিতে ৯২। আরো পাঁচটি গাড়িতে ধোঁয়ার ঘনত্ব ছিল সহনীয় মাত্রার বেশি। মোট নয়টির গাড়ির মধ্যে ৭ গাড়ি সহনীয় মাত্রা ৬৫ এইচএসইউয়ের বেশি, যা ৭৮ শতাংশের বেশি।

চলতি শীত মৌসুমে ঢাকার বাতাসে ভারী ধূলিকণার পরিমাণ বাড়তে থাকায় গত সপ্তাহে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা। ২২ জানুয়ারি সুইস বায়ুমান পর্যবেক্ষক সংস্থা আইকিউএয়ারের শহরভিত্তিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) সবচেয়ে বাজে দশা ছিল ঢাকার বাতাসের। সেদিন স্কোর ছিল ২৭১, যে মাত্রা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ’। আইকিউ এয়ারের আজকের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বাতাসের মান (একিউআই) ১৬৩। একিউআই ১০১-১৫০ হলে সেই বাতাস স্পর্শকাতর শ্রেণির মানুষের (শিশু, বৃদ্ধ, শ্বাসকষ্টের রোগী) জন্য অস্বাস্থ্যকর ও ১৫১-২০০ হলে তা সবার জন্যই অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয়। আর একিউআই ২০১-৩০০ হলে তা খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ পেরিয়ে গেলে সেই বাতাসকে বিপদজনক ধরা হয়।

ডি- এইচএ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়