×

সারাদেশ

যেভাবে জন্মসনদ পেল চার রোহিঙ্গা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৯ এএম

যেভাবে জন্মসনদ পেল চার রোহিঙ্গা

ফাইল ছবি

জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় জন্মসনদ পেয়েছে এক রোহিঙ্গা পরিবারের চার সদস্য। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই পরিবারের চার সদস্যকে জন্মসনদ পেতে সহায়তা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। বর্তমানে রোহিঙ্গা পরিবারটি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেতুয়ারকুল এলাকায় বসবাস করছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নিরাপত্তাকর্মীদের ম্যানেজ করে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মসনদ সংগ্রহ করে। এ কাজে তাদের সহায়তা করে যাচ্ছেন জনপ্রতিনিধি, ইউপি সচিব ছাড়াও নির্দিষ্ট দালাল চক্র। এভাবে রোহিঙ্গারা জন্মসনদ পেয়ে যাচ্ছেন। তারা জন্মসনদ পাওয়ার পর আইডি কার্ড, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ও পাসপোর্ট নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।

জানা যায়, মিয়ানমার থেকে আসা একটি রোহিঙ্গা পরিবার চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বেতুয়ারকুল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। ওই পরিবারের সদস্যদের বাবা নুর আহমদ ও মাতা ছুরা খাতুনও মারা গেছেন অনেক আগে। পরিবারের অন্য একজন সদস্য প্রবাসে থাকলেও নুর আহমদের আরো ৪ জন সদস্য থাকেন বেতুয়ারকুল এলাকায়। তারা হলেন- মিজানুর রহমান (৩০), হালিমা সাদিয়া (২৩), আনোয়ারা সাদিয়া (২০) ও শামসুদ্দুহা (১৫)। তারাও সুযোগ বুঝে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেষ্টা চালিয়ে যান।

রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ পেতে সুযোগ সৃষ্টি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বিএমচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মিজান উদ্দিন রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ পেতে সহায়তা করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয় লোকজন জানান, মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তাদের জন্মসনদ দিয়েছেন। জন্মসনদ পেতে একটি নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হয়। সেটি স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সুপারিশের মাধ্যমে পরিষদে পাঠানো হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের স্বাক্ষর হলে জন্মসনদ দেয়া হয়। ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মিজান উদ্দিন জন্মসনদ পেতে সহায়তা করেছেন।

বিএমচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জামাল উদ্দিন মনু জানান, তার ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মিজান উদ্দিন টাকার বিনিময়ে অনেক রোহিঙ্গাকে জন্মসনদ দিয়েছেন। এর মধ্যে রোহিঙ্গা নুর আহমদের দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে জন্মসনদ পেতে সহায়তা করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এরফানুল হক বলেন, জন্মসনদ পাওয়া পরিবারটির সদস্যরা রোহিঙ্গা কিনা জানি না। তবে কাগজপত্রগুলো পরিষদে পাঠিয়ে দিন। যাচাই বাছাই করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App