×

বিনোদন

‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে ফারুকীর চিঠি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম

‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে ফারুকীর চিঠি

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী

‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে ফারুকীর চিঠি

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী

সেন্সর বোর্ডে দীর্ঘদিন আটকে আছে মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমা। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করলেও দেশের দর্শক এখনো আলোর মুখ দেখতে পারেনি সিনেমাটি। ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তির জন্য সেন্সর বোর্ডের অনুমতির অপক্ষায় আছেন এই নির্মাতা।

সম্প্রতি আপিল বোর্ডের শর্তসাপেক্ষে সিনেমাটির মুক্তির কথা শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত সেন্সর ছাড়পত্র পাননি এই নির্মাতা। আর সেই চিন্তা থেকেই সেন্সর বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি খোলা চিঠি লেখেন। তাতে উল্লেখ করেন, ‘সেন্সর বোর্ডের প্রিয় ভাইবোনেরা, আমরা এখনও আপনাদের চিঠির অপেক্ষায়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আপীল বোর্ড একটা সিনেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখে। শনিবার বিকেলের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত দেশি-আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের কল্যাণে সারা দুনিয়ার (বিশ্বের) মানুষ জানে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে। আর দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি। ওদিকে, (বলিউডে) ‘ফারাজ’ (হিন্দি সিনেমা) রিলিজ (মুক্তি) হচ্ছে তিন তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে শনিবার বিকেল মুক্তির দিকে, ফারাজের সাথে একই দিন বা এক ঘণ্টা আগে হলেও।

সুতরাং এটা দ্রুত সমাধান করেন। আমরা হাসিমুখে সিনেমাটা রিলিজ করি। পৃথিবীর নানা দেশে সিনেমাটা দেখানো হয়েছে, হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের মানুষের পালা। পাশাপাশি এটাও আপনাদের ভাবার সময় আসছে, এই নতুন মিডিয়ার (গণমাধ্যমের) যুগে সিনেমা আটকানোর মতো সেকেলে চিন্তা আদৌ কোনো কাজে আসে কিনা। কারন যে কেউ চাইলে তার ছবি ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। ফলে ছবি আটকানোর চেষ্টা একটা পন্ডশ্রম যা কেবল দেশের জন্য বদনামই বয়ে আনতে পারে। আরেকটা কথা যেটা বারবারই বলছি, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে কারো সিনেমা বানানোর দরকার নাই। দেশের বাইরে যে কোনো দেশ থেকে ইউটিউব-ফেসবুকে একটা দশ মিনিটের ভিডিও আপ করে দিলেই হয়। শিল্প রচনার মতো এতো কষ্টসাধ্য পথে যাওয়ার তো দরকার নাই। আর তাছাড়া শিল্পীর লক্ষ্য এতো ন্যারো (সংকুচিত) থাকে না, ভাই। কারো ভাবমূর্তি রক্ষা বা ক্ষুন্ন করার মতো কাজ তার না। তার লক্ষ্য মহাকালের সঙ্গে তার কালের কথোপকথন!

চিঠির শেষে নিজেকে ‘বঙ্গসন্তান’ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App