×

সারাদেশ

তুমব্রু শূন্যরেখায় সুড়ঙ্গ, ছিল রেস্টুরেন্টও

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৪ পিএম

তুমব্রু শূন্যরেখায় সুড়ঙ্গ, ছিল রেস্টুরেন্টও

ছবি: সংগৃহীত

তুমব্রু শূন্যরেখায় সুড়ঙ্গ, ছিল রেস্টুরেন্টও

সুড়ঙ্গগুলো দিয়ে সহজেই মিয়ানমারে আসা যাওয়া করা যেতো

গোল্ডেন হোটেল ছিলো ইয়াবা ও চোরাই পণ্যের গোডাউন

বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর সেখানে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গের দেখা মিলেছে। এছাড়া সেখানে ছিলো আরাকান গোল্ডেন হোটেল নামে একটি রেস্টুরেন্টও। রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপ আরসার মাদক পাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র তৈরি, আত্মগোপন ও মিটিংসহ নানা কর্মকাণ্ডে এই রেস্টুরেন্ট ও সুড়ঙ্গগুলো ব্যবহার করা হতো।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে দলত্যাগ করা আরসার দুই সদস্য এক গণমাধ্যমে জানান, মোট ৭টি সুড়ঙ্গ ছিল এখানে। যার একটিতে থাকতেন আরসা প্রধান আতাউল্লাহ, আরেকটিতে সেকেন্ড ইন কমান্ড ওস্তাদ খালেদ। বাকিগুলো ব্যবহার হতো অস্ত্র তৈরি ও অন্যান্য কাজে। সুড়ঙ্গগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেটা দিয়ে সহজেই মিয়ানমারে আসা যাওয়া করা যেতো।

এদের একজন বলেন, ৬-৭টি সুড়ং ছিল। এর একটিতে ওস্তাদ খালেদ থাকতো। একটিতে আতাউল্লাহ থাকতো। আর বাকিগুলো ওরা কারখানা হিসেবে ব্যবহার করতো।

আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র শুন্যরেখায় শুধু সুড়ঙ্গ নয়, আরাকান গোল্ডেন হোটেল নামে একটি রেস্টুরেন্টও চালু করেন। তাদের দাবি, এই গোল্ডেন হোটেল ছিলো মূলত ইয়াবা ও চোরাই পণ্যের গোডাউন। মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করে যা পাচার করা হতো বাংলাদেশে।

দুই সদস্যের অন্যজন বলেন, একটিতে গোল্ডেন হোটেল খুলেছিলো। যেখানে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা, সিগারেটসহ অবৈধ পণ্য এনে বেচাকেনা করতো। আর ক্যাম্প থেকে ১০-১২ বছর বয়সী মেয়েদের এনে এখানে রাখতো।

শুন্যরেখায় ক্যাম্প পুড়ে যাওয়ার পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিরতা বাড়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। গত ১৮ জানুয়ারি ভোরে তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আরসা ও আরএসও এর মধ্যে গোলাগুলির পর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়ায় অন্তত আড়াই হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App