×

জাতীয়

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধের উদ্যোগ প্রশংসনীয়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:২৬ পিএম

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধের উদ্যোগ প্রশংসনীয়

ছবি: ভোরের কাগজ

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধের উদ্যোগ প্রশংসনীয়

ই-সিগারেট আগামী প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করতে তামাক কোম্পানির নতুন কৌশল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ই-সিগারেট বা ভেপিং আরো বেশি ক্ষতিকর। ই-সিগারেট নিষিদ্ধের লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, যা প্রশংসনীয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে, আর সেই লক্ষ্যে তামাকের মতো তিকর দ্রব্য হতে জনগণকে বিরত রাখা জরুরি।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ডব্লিউবি ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকে বাংলাদেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধে গুরুত্ব শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্স সেল (টিসিআরসি) ও বাংলাদশে তামাক বিরোধী জোট যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের (ইআরবি) কর্মসূচি ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোলের সঞ্চালনায় ওই আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক (বাংলাদেশ) অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক রখফার সুলতানা খানম, ভাইটাল স্ট্রাটিজিসের হেড অব প্রোগ্রামস (বাংলাদেশ) মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ ও প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হেলাল আহমেদ প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সিগারেটের বিকল্প হিসাবে ই-সিগারেটে আসক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন মিথ্যাচার করছে। দীর্ঘমেয়াদী ভোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে তাদের মূল টার্গেট তরুণ প্রজন্ম। সম্প্রতি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ সংশোধনের খসড়ায় ই-সিগারেটের উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করা হয়েছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের পূর্বে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে এখনই ই-সিগারেট, ভেপিংয়ের মতো পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

রখফার সুলতানা খানম বলেন, সব ধরনের তামাক শরীরের জন্য অত্যন্ত তিকর। তরুণদের তামাক ব্যবহার হতে দূরে রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সঙ্গে কাজ করা জরুরি।

ইকবাল মাসুদ বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট কোনো দিক দিয়েই কম তিকর নয়। ই-সিগারেট বন্ধে তিনি নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে কর্মরত ব্যক্তিদের সঙ্গে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App