‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে ফারুকীর চিঠি

আগের সংবাদ

৪০ হাজার অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

পরের সংবাদ

মিরসরাইয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, আটক ১

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ৫:৪৪ অপরাহ্ণ আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ , ৭:০৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টাকালে রিয়াজুল ইসলাম (২৪) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি ভোলার লালমোহন থানার মো. আলী আজগরের ছেলে।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানায় মামলা (নাম্বার-২২) দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা।

জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী নিলুফা বেগম (ছদ্মনাম) স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তাকে সিএনজি-অটোরিক্সায় তুলে স্থানীয় মিঠাছড়া বাজারে নিয়ে যায় (২৪)। সেখান থেকে কুমিল্লা কোটবাড়ীর কথা বলে ঢাকাগামী সৌদিয়া পরিবহনের টিকিট কাটেন রিয়াজুল ইসলাম। মেয়েটির পরনে স্কুল ড্রেস ও কাঁধে স্কুল ব্যাগ দেখে কাউন্টারে মালিক সুজন সন্দেহ করেন।

সুজন পরবর্তী কাউন্টার বারইয়ারহাটে ফোন করে বাস থেকে দুইজনকে নামিয়ে দিতে বলেন। পরে বাস থেকে নামিয়ে দিলে স্থানীয় কাউন্টারের লোকজন মেয়েটিকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে অভিযুক্ত রিয়াজুল ইসলামকে দূর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যান।

সন্ধ্যায় স্কুুল কমিটির অভিযোগ পেয়ে রিয়াজুল ইসলামকে জোরারগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। দিনভর নানা নাটকীয়তার পর রাত সাড়ে ১০টায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

মিঠাছড়া বাজার বাস কাউন্টারের মালিক সুজন জানান, মেয়েটির পরনে স্কুল ড্রেস আর কাঁধে স্কুল ব্যাগ ছিলো। পুরুষটির আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে আমি পরবর্তী কাউন্টার বারইয়ারহাটে ফোন করে ড্রাইভারকে বলি তাদের নামিয়ে কাউন্টারে বুঝিয়ে দিতে। পরে স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. রফিকের সাথে যোগাযোগ করে মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ছেলেটিকে স্কুলে নিয়ে যান। এরপর কি হয়েছে বলতে পারি না।

দূর্গাপুর নগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, স্কুুল থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় পথে যে কোন স্থান থেকে তাকে সিএনজিতে তুলে মিঠাছড়া বাজার বাস কাউন্টারে নিয়ে যায় রিয়াজুল ইসলাম। সেখান থেকে টিকিট কেটে বাসে উঠার পর বাসের স্টাফ বা যাত্রীদের সন্দেহ হলে হলে বারইয়ারহাট বাস কাউন্টার তাদের নামিয়ে ফেলে। এরপর মেয়েটি বাসায় চলে যায়। ছেলেটিকে সন্ধ্যায় লোকজন স্কুলে নিয়ে আসে। বিষয়টি আমি তখন স্কুলের সভাপতি জসিম উদ্দিনকে জানাই। তিনি থানায় ফোন করেন। পুলিশ এসে ছেলেটিকে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটির মাসহ অভিভাবকেরা থানায় যান।

জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল আলম জানান, সোমবার দুপুরে ভিকটিমের জবানবন্দি নেয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহার এবং ভিকটিমের দেয়া জবানবন্দি অনুযায়ী তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আসামিকে চালান দেয়া হয়েছে।

 

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়