×

সারাদেশ

শান্তিগঞ্জের ছাইয়া কিত্তা বাঁধে ভাঙ্গন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০২:১৮ পিএম

শান্তিগঞ্জের ছাইয়া কিত্তা বাঁধে ভাঙ্গন

ছবি: ভোরের কাগজ

হুমকির মুখে বোর ফসল

শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহ চার উপজেলার দেখার হাওরকে বলা হয় বোরো ফসলের শস্য ভান্ডার। দেখার হাওরে রয়েছে ১২ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। এ উপজেলার দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা ফসল রক্ষা বাঁধের দুই পাশে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলা দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তার বাঁধ ০৩নং পিআইসি কমিটির অধীনে। দেখার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের পিআইসি নং-০৩ এর অধীনে প্রায় ৩০১.০০ মিটার বাঁধের কাজ নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রকল্প এলাকার উত্তর পার্শ্বে ‘‘ছাইয়া কিত্তা’’ নামক জায়গায় গত বছর বর্ষা মৌসুমে কিছু অসুধী ব্যবসায়ী রাতের আধারে মহাসিং নদী ও বাঁধের পশ্চিমে বালি মাটি ও ভিট বালি উত্তোলন করে। এতে বাঁধের দুই পাশে মহাসিং নদীর অংশে ও হাওরের অংশে বড় বড় দুইটি ডোবার সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ২৭ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ছাইয়া কিত্তা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ শেষ পর্যায়ে। গত ৭/৮ দিন ধরে বাঁধের দুই পাশে ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। এতে বাঁধের সকল মাটি দুই পাশে গভীর ডোবায় ধসে পড়ছে। দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা ফসল রক্ষা বাঁধের দুই পাশে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ এবং আর্থিক সংকটে পড়ছেন পিআইসি কমিটির লোকজন।

রবিবার(২৯ জানুয়ারী) সকালে সরেজমিনে দেখার হাওরের বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা ফসল রক্ষা বাঁধের দুই পার্শ্বে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরী করে মাটি ফেলা হচ্ছে। কিন্তু বাঁধের দুই পাশে গভীর গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় মাটি ধরে রাখা যাচ্ছে না।

আস্তমা গ্রামের কৃষক ও পিআইসি কমিটির সভাপতি আজিমুল হক জানান, আমাকে ছাইয়া কিত্তা বাঁধে কাজ করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কাজে ধরার পর আমার বাঁধের দুই পাশে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কোন ভাবেই ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না। এখন ভাঙ্গণ রোধে আরো অর্থ বরাদ্দ দিয়ে দুইটি গর্ত মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। না হলে বাঁধ রক্ষা করা যাবেন না। বৈশাখ মাসে হাওরে পানি এলে এ বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে। আমি উপজেলায় লিখিত ভাবে জানিয়েছি।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা কাবিটা কমিটির সদস্য সচিব মাহবুব আলম বলেন, দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা হাওরের বাঁধটি আসলে হুমকির মুখে এবং ইতিমধ্যে বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। পূর্ব পাশে নদীর গর্তে মাটি ভরাট করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা প্রস্তুত করতেছি।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, এ উপজেলার দেখার হাওরের ছাইয়া কিত্তা বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। ফসল রক্ষা বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App