×

সারাদেশ

রামগড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৫২ পিএম

রামগড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

প্রতিকি ছবি:

রামগড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক
রামগড়ে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়

মাদকের নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে সীমান্ত উপজেলা রামগড় সহ পাশ্ববর্তী উপজেলা। এখানে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। শহর থেকে গ্রাম সব জায়গায় সন্ধা নামতেই ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য বিক্রেতা ও সেবনকারীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। আইনশৃংখালা বাহিনীর অভিযানেও সীমান্ত হতে নিয়মিত জব্দ হচ্ছে মাদকজাত দ্রব্য।

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, গলি, লেক কিংবা বিদ্যালয়ের আংগিনায় জনমানবহীন যে কোনো জায়গা তরুণ ও যুবকদের মাদকসেবন করতে দেখা যায়। ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা সেবনে জড়াচ্ছে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। আবার পাহাড়ী পল্লীর দেশীয় তৈরী চোরাই মদ পান করে রাস্তা ও বাজারঘাটে উম্মাধনা করতে দেখা যায় অনেক সেবনকারীকে।

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষার্থীদের মাদকসেবনে জড়ানোর পেছনে প্রথমে ধুমপান গ্রহণে উৎসাহী করে কিছু বিপদগামী তরুণ। পরে সংঙ্গদোষে প্রথমে ফ্রি মাদক সেবন থেকে ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়লে তারা নিজেরাও একসময় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। আর এসব মাদকাসক্তরা মাদকের জন্য বিপথে চলে যায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রামগড় উপজেলায় সীমান্ত রুট হিসেবে পরিচিত লাচারীপাড়া, সোনা মিয়ার চর, কাঁশিবাড়ি, বল্টুরাম, অফিসটিলা, থানাঘাট, মন্দিরঘাট, দারোগাপাড়া, ফেনীরকুল চর, কারবারীর টিলা, ছোটখেদা, হাবিবুল্লাহরর চর ও পাশ্ববর্তী ভূজপুর থানার বাগানবাজার, রহুল আমীনের চর, নলুয়াটিলা, আধাঁর মানিক, সিকদারখিল এবং মিরসরাই উপজেলার বৈদ্বগেড়ামারা, লেবুবাগান , কয়লারমুখ প্রভুত এলাকা দিয়ে আসছে গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল হেরোইনসহ নানা মাদকদ্রব্য। পরে এসব মাদক ছোট-বড় ব্যাবসায়ী ও সোর্সদের মাধ্যমে রামগড়সহ পাশ্ববর্তী উপজেলার শহর-গ্রামে ছড়িয়ে দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে প্রতিনিয়ত মাদকের চালান ধরা পড়লেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে গডফাদাররা।

অভিভাবকরা বলছেন, মাদকসেবনের ভয়াবহতায় উদ্বিগ্ন তারা। যার কারণে এলাকায় চুরী ছিনতাইসহ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা। দায়ীত্বহীন ও পরিবার-পরিজনহীন হয়ে বিপথে পা বাড়াচ্ছে আদরের সন্তানেরা।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো: শাহ আলম বলেন, 'মাদকের ভয়াবহতা এখন শিক্ষার্থীদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু কিছু মাদককারবারী আটক হলেও আইনী দুর্বলতায় মুক্ত হয়ে আবারো মাদকব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, মাদকাসক্তের হাতে সম্প্রতি খুন হতেও শুনা গেছে'।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মিজানুর রহমান বলেন, 'মাদকের ব্যাপারে আমরা কোনো ছাড় দিচ্ছি না। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, মাদক বিস্তার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে'।

উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী সম্প্রতি উপজেলা আইনশৃংখালা কমিটির সভায় বলেন, ‘আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে যাচ্ছি। সীমান্ত উপজেলা হওয়াতে মাদক স্থায়ী নির্মুল করতে না পারলেও প্রশাসন ও আইনশৃংখালা বাহিনী থেকে মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হচ্ছেনা। এজন্য পারিবারিক ও সামাজিক সচেনতনা আরো বৃদ্ধি করা গেলে মাদকের ভয়াবহতা কিছুটা কমানো সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন'।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App